তৃণমূলের ছয়ে ছক্কা। বাংলার ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই বিরোধীদের শুইয়ে দিয়েছে তৃণমূল। সবার জামানত জব্দ হয়েছে। তা সত্ত্বেও বামসঙ্গী আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক নৌশাদের মুখে চওড়া হাসি। এবারের ভোটেও বৃহত্তর বামজোটের মানরক্ষা করেছে তাঁর দলই। বিজেপি-কংগ্রেসকে হারিয়ে আইএসএফ উছে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে।

হাড়োয়ায় তৃণমূল জয়ী হয়েছে বিরাট ব্যবধানে। সেখানে দূরতম দ্বিতীয় আইএসএফ। কিন্তু দ্বিতীয় তো! প্রধান রাজনৈতিক দুই দলকে হারিয়ে আইএসএফের এই উত্থানে খুশি নৌশাদ। তাই তৃণমূলের জয়েও তিনি হাসছেন। আগামীদিনে উত্থানের স্বপ্ন দেখছেন। ভাবছেন নয়া সমীকরণ নিয়ে। ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ না জিতেও খুশি মনে ২০২৬-এর সমীকরণ তৈরি করতে এখন থেকেই ছক কষতে শুরু করে দিয়েছে।
হাড়োয়ায় বামফ্রন্ট সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী ছিলেন আইনজীবী পিয়ারুল ইসলাম। তৃণমূলের রবিউল ইসলামের পর তিনিই ২৫ হাজার ৬৮৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন। ভোট শতাংশের বিচারে লোকসভার থেকে আইএসএফ-এর ভোট কমেছে ২.৫ শতাংশ। ভোট কমেছে বিজেপিরও। বিজেপির ৮.৩ শতাংশ ভোট কমেছে। সেখানে তৃণমূল বাড়িয়েছে ১৩.২ শতাংশ ভোট।

দ্বিতীয় স্থানে শেষ করায় খুশি হলেও অবশ্য উপনির্বাচনের সামগ্রিক ফলাফল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন নৌশাদ। তিনি জানিয়েছেন, এই রাজ্যে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়। তৃণমূলের রাজত্বে সুষ্ঠু ভোট অসম্ভব। এই ফলাফল গণতন্ত্রের জন্য অশনি সঙ্কেত। তিনি বলেন, ৩৭টির বেশি বুথে ছাপ্পা হয়েছে, আমরা পুনর্নিবাচনের দাবি জানিয়েছিলাম। এই বুথগুলিতে ভোট হলে ফলাফল আরও ভালো হত। উপনির্বাচনে দল সন্তোষজনক ফলাফল করায় ২০২৬ নিয়ে এখন থেকেই পরিকল্পনা কষতে শুরু করেছে আইএসএফ। নৌশাদ বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। লড়াই জারি থাকবে বিজেপির বিরুদ্ধেও। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনী বন্ড ও কর্পোরেটদের কালো টাকা দিয়ে বিজেপি নির্বাচন করে। তারই প্রতিফলন মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশ দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- ফুসফুসে আটকে দাঁত! প্রৌঢ়ের প্রাণ বাঁচিয়ে নয়া রেকর্ড এনআরএসের
