পশ্চিমবঙ্গ বাংলাভাষীদের রাজ্য। এখানে ৮৬ শতাংশ মানুষ বাঙালি। তারপরেও মহানগরীতে বাংলা বলার জন্য বাঙালিকে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিচ্ছেন জনৈক অবাঙালি! কলকাতা মেট্রোর ভাইরাল ভিডিও (Viral Video in Kolkata Metro) ঘিরে যখন বিতর্ক তুঙ্গে তখন বাংলা ভাষার পক্ষে সওয়াল করে ধর্মতলায় মিছিল বাংলা পক্ষের। প্রশ্ন খুব সহজ, ভারতে থাকলে হিন্দি জানতে হবে আর বাংলা বললে বাংলাদেশি তকমা দেওয়ার সাহস আসছে কোথা থেকে? হিন্দুত্বের ধ্বজা ধরে হিন্দি ভাষার আধিপত্য বাড়ানোর চক্রান্তের মাঝে বাঙালির অস্তিত্বের লড়াইয়ে সকলকে সামিল হওয়ার ডাক দিয়ে রবিবাসরীয় বিকেলে শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রতিবাদ কর্মসূচি বাংলা পক্ষের (Bangla Pokkho)।

কলকাতা মেট্রোয় সফরকালে দুই মহিলার ভাষা নিয়ে বাকবিতণ্ডা সমাজমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। দেখা গেছে বাংলায় কথা বলার জন্য এক বাঙালি মহিলাকে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দেওয়া হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, তিনি যুক্তি দিয়ে প্রতিবাদ করলে তাঁকে বলা হয়, ইন্ডিয়াতে থেকে হিন্দিতে কথা বলতে পারাটা নাকি বাধ্যতামূলক। এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেই বাংলা পক্ষ এদিন ধর্মতলার প্রতিবাদ মঞ্চে গর্জে ওঠে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলায় কথা বলার জন্য হিন্দু – মুসলিম নির্বিশেষে ‘বাংলাদেশি’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এবার খাস কলকাতাতেও সেই একই ঘটনা। গোটা দেশের মিডিয়া এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। বাংলা পক্ষের অভিযোগ, যে মেট্রো রেলের বাঙালি যাত্রীকে ভাষাকে মাতৃভাষা নিয়ে অপমানের পর সেই খবর যখন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে তখনও রাজনৈতিক দলগুলো এই নিয়ে প্রত্যক্ষভাবে কোনও মন্তব্য করতে চাইনি। আসলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের মতো হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এদিন জানান বাংলা পক্ষের প্রতিনিধি। মেট্রো রেলের ঘটনা এই হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের ফসল বলেও তোপ দাগেন তিনি। পাশাপাশি বাংলা বিরোধী বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বাংলা পক্ষ বলে, বাঙালি আর বাংলা ভাষাকে সম্মান না করলে ভবিষ্যতে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে বাঙালি ভোট বাক্সে। ইতিমধ্যেই সেই টিজার শুরু হয়ে গেছে।