Wednesday, August 20, 2025

বাংলার মধ্যে বিজেপির লম্ফঝম্প! পেট্রাপোলে সস্তার রাজনীতিকে কটাক্ষ তৃণমূলের

Date:

Share post:

বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুতে নতুন রাজনীতির চেষ্টা বাংলার বিজেপির নেতাদের। রাজ্যের শাসকদলকে কোনও ইস্যুতে যুঝে উঠতে না পেরে এবার আন্তর্জাতিক ইস্যুকে হাতিয়ার করে বাংলায় জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টায় সোমবার বনগাঁর (Bangaon) পেট্রাপোল (Petrapole) সীমান্ত বন্ধ করার চেষ্টা বিজেপির নেতাদের। পাল্টা কেন্দ্রের সরকারের নীরবতার সুযোগে রাজ্যের নেতাদের লম্ফঝম্পকে তীব্র কটাক্ষ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, রাজ্য যেখানে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র বাংলাদেশ ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নেবে তাকেই সমর্থন করা হবে। তারপরেও মৌন কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা।

বাংলাদেশে সংখ্য়ালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধের দাবিতে এপার বাংলার সন্ন্যাসীরা বিক্ষোভ সামিল হন। সোমবার পেট্রাপোলে (Petrapole) সন্ন্যাসীদের কর্মসূচিতে শামিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তবে বিজেপির পতাকা ছাড়া যোগ দিয়ে তিনি সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন। সীমান্তে পদযাত্রা করে, কালো বেলুন উড়িয়ে ‘প্রতিবাদ’ করেন সন্ন্যাসীরা শুভেন্দুর নেতৃত্বে। অভিবাসন দফতরের (Immigration Department) বাইরে বিক্ষোভ দেখান। বাণিজ্য বন্ধের দাবি করেন। যদিও আদতে কোনও যান নিয়ন্ত্রণের পথে যাননি বিজেপি নেতারা। কার্যত স্পষ্ট আদৌ কেন্দ্রের বিজেপির সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করার কোনও লক্ষ্য নেই রাজ্যের বিজেপির নেতাদের। বিজেপির সেই উদ্দেশ্য সোমবারের ঝামেলা বাধানোর চেষ্টায় সামনে চলে আসতেই কটাক্ষ কুণাল ঘোষের। তাঁর দাবি, “বাংলাদেশের বিষয়টিতে যা করতে হবে সংবেদনশীল হয়ে, যুক্তি দিয়ে করতে হবে। তার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে দিল্লির সরকারকে। তার জন্য এখানে গা-জোয়ারি করে বাণিজ্য (international trade) বন্ধ করে কী হবে? কেন্দ্রের সরকার কিছু করছেন না। সেই সুযোগে রাজ্য় বিজেপির নেতারা রাজনীতি করছেন।”

রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে বারেবারেই বার্তা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের সরকারকে পদক্ষেপ নিতে। সোমবার বিধানসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন। এমনকি বাংলাদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ারও দাবি জানান। সেখানে রাজ্যের বিজেপি নেতারা কোনও রকম সদর্থক পদক্ষেপ বা নিজেদেরই দলের উচ্চতর নেতৃত্ব, দিল্লির নেতৃত্বের কাছে কোনও আবেদন না করে রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন দাবি তৃণমূলের। কুণাল ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশ একটা আলাদা রাষ্ট্র, বাংলা একটা রাজ্য। বাংলার এক্তিয়ার নেই বাংলাদেশের ভিতরে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার। ওনার দলের আছে। পেট্রাপোল সীমান্তে না গিয়ে দিল্লিতে যান। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন ওখান থেকে যারা ফিরে আসতে চাইছেন তাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত। কেন্দ্র সরকারকে তো ব্যবস্থা নিতে হবে! তার বদলে আমরা অবাক হয়ে দেখছি সস্তার রাজনীতি করতে যাচ্ছেন।”

spot_img

Related articles

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...

ডুরান্ড অভিষেকেই ইতিহাস তৈরি ডায়মন্ড হারবারের, সেমিফাইনালেই বিদায় লাল-হলুদ ব্রিগেড

বড় ম্যাচ জিতে পরের ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটালো ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি (EEBFC)। আর অন্যদিকে ডুরান্ড...

বাঁকুড়ার ডেকরেটার্স মালিক খুন মামলায় দোষী সাব্যস্ত! কর্মী-সহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

ডেকরেটার্স মালিক খুনের চার বছর পর রায় দিল বাঁকুড়া জেলা আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল এক কর্মী-সহ তিন অভিযুক্তের।...