আটদিনের জন্য গিয়ে প্রায় আট মাসের জন্য মহাকাশে আটকে সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)ও তাঁর সঙ্গী নভোশ্চর বুচ উইলমোর। ইতিমধ্যেই দুজনের স্বাস্থ্যের অবনতির খবর মিলেছে। তবে সবথেকে বেশি চিন্তা সুনীতাকে নিয়ে। পৃথিবী থেকে রওনা হওয়ার সময় ওজন ছিল তেষট্টি কেজি। সম্প্রতি যে ছবি সামনে এসেছে তা দেখে রীতিমতো আঁতকে ওঠার জোগাড়। চোয়াল ভাঙা, শরীর শীর্ণকায়, একেবারে কঙ্কালসার চেহারা হয়েছে নাসার নভোশ্চরের। এবার জানা গেল তাঁর মস্তিস্কে ফ্লুয়িড (Fluid in Brain)জমতে শুরু করেছে। সেই কারণেই শরীরের তুলনায় মাথা বড় দেখাচ্ছে সুনীতার। তবে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা (National Aeronautics and Space Administration) সংস্থা বলছে, সুনীতা ও বুচদের জন্য রোজ মাথাপিছু ১ কেজি ৭০০ গ্রাম খাবার ধার্য করা আছে। সাধারণত মহাকাশচারীদের প্রত্যেকের দিনে এক গ্যালন জল লাগে। এখনও ৫৩০ গ্যালন জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে মহাকাশ স্টেশনে। ফলে, জল-খাবার, কোনও কিছুরই অভাব নেই।

গত জুন মাসে বোয়িং স্টারলাইনার করে স্পেস স্টেশনে যান সুনীতা ও বুচ। কিন্তু যান্ত্রিক সমস্যার কারণে আগামী ফেব্রুয়ারির আগে তাঁরা ফিরতে পারবেন না। ইলন মাস্কের স্পেস এক্সের (Space X) রকেটে চড়ে আগামী বছর ফিরবেন তাঁরা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সুনীতা ও বুচ রোজ কমপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুমোচ্ছেন। তাঁদের খাবারের তালিকায় রয়েছে আমেরিকার হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারের স্পেস ফুড সিস্টেম ল্যাবরেটরিতে তৈরি পিৎজা, মুরগির রোস্ট, চিংড়ি ও টুনা মাছ এবং শস্যদানা জাতীয় খাবার ও নানারকমের স্যুপ। সুনীতা বলেছেন, তাঁর ওজন কমেনি, বরং বেড়েছে।
