ঢাকায় বহু কাঙ্ক্ষিত বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক সোমবার শুরুর পথে। অথচ এই পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশে বন্ধ হচ্ছে না রক্তপাত। বিদেশ সচিব (foreign secretary) পর্যায়ের বৈঠকের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ। তবে বৈঠকের আগের দিন বাংলাদেশের প্রেস সচিবের বক্তব্যে স্পষ্ট ভারত সম্পর্কে কোনও নরম অবস্থানের পথে নেই তারা। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ইস্যুতেও সুর চড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে।

শুধুমাত্র সংখ্যালঘু নয়, অগস্টের আন্দোলনের পর থেকেই বাংলাদেশে প্রবল হিংসার মুখে আওয়ামি লীগ (Awami League) সদস্যরা। ফের মৌলভীবাজারে এক আওয়ামি লীগ নেতার আত্মীয়ের বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটানো হয়। ঘরের ভিতরে আটকে মৃত্যু হয় ওই নেতার মা ও কাকিমার। কার্যত রবিবার ইংল্যান্ডে শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল ভাসনের (virtual lecture) পরেই ফের হিংসার ঘটনা বাড়ার আশঙ্কা বাংলাদেশে।

শুক্রবার ঢাকায় পদ্মা ভবনে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রিকে (Vikam Misri) অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের বিদেশ সচিব জসিম উদ্দিন (Jashim Uddin)। এরপরই পদ্মা ভবনে শুরু হয় দুদেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠক। বিক্রম মিশ্রির সফরে দুদিন আগে থেকে খোদ ঢাকায় আক্রান্ত ভারতের দূতাবাস (Indian Embassy)। রবিবারও দূতাবাস অভিযান করে বিএনপি (BNP) কর্মীরা। যদিও ভারতের বিদেশ সচিবের সফরের আগের দিন মুখরক্ষায় রবিবারের মিছিল দূতাবাসের দূরে আটকে দেয় পুলিশ। পাল্টা বুধবার ফের ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তে মিছিলের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইংল্যান্ডের ভার্চুয়ার সভার প্রভাবও ভারতের বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে পড়ার আশঙ্কা। রবিবার বাংলাদেশের প্রেস সচিব জানান, হাসিনাকে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়াও জারি রয়েছে। হাসিনার উপরে যে মামলা রয়েছে সেই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া চলছে। সেই নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া শেষ হলেই ভারতের কাছে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবি জানাবে বাংলাদেশ। বিদেশ সচিবের বৈঠকের আগেই প্রেস সচিবের এই বার্তাও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
