সকলের মাথায় ছাদ, দেশের মানুষের জন্য নেওয়া এই উদ্যোগ থেকে বঞ্চিত শুধুমাত্র বাংলা। বিজেপি বিরোধিতার মাশুল হিসাবে রাজ্যকে যোজনার টাকা থেকে বঞ্চিত করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার শুধুমাত্র বেনিয়মের অভিযোগ তুলে। কিন্তু বাংলার মানুষকে কোনওভাবে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে দেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর হাত ধরে ‘বাংলার বাড়ি’ (Banglar Bari) প্রকল্পে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ঘর তৈরির টাকা পাবেন বাংলার মানুষ। আর তার জন্য যোগ্য প্রাপকদের খুঁজে পেতে সব রকম পথ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পথেই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তে (Sorasori Mukhyomantri) আবেদন করে শুধুমাত্র উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলাতেই ঘর পেতে চলেছেন প্রায় ১০ হাজার প্রাপক।

সংসদে (Parliament) যতবারই তৃণমূল সাংসদরা বাংলার মানুষের ঘরের টাকা দাবি করেছেন ততবার বিজেপির মন্ত্রীরা পুরোনো বেনিয়মের কথা তুলেছেন। অথচ দু বছর ধরে তদন্ত, শাস্তি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে কোনও সমাধানের পথে যাননি তাঁরা। বঞ্চিত করে রেখেছেন বাংলার মানুষকে। তাই বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিজেই রাজ্যের তহবিল থেকে বাড়ি তৈরির টাকা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) প্রমাণ করে দিয়েছেন সদিচ্ছা থাকলে মানুষের জন্য কাজ করা আটকে থাকে না। সেই উদ্দেশ্যে যোগ্য প্রাপকদের খোঁজে সব রকম প্রচেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। খুলে দেওয়া হয়েছে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তে আবেদনের পথও।

উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা থেকেই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তে বাংলার বাড়ি-র জন্য আবেদন করেন ১৮ হাজার মানুষ। সেই আবেদন পরীক্ষা করে দেখতে গিয়েই ৪ হাজার আবেদনকারীর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। বাকি ১৪ হাজার আবেদনকারীর যোগ্যতা পরীক্ষা করা হয়। শেষ পর্যন্ত ৯ হাজার ৮০০ জন বাড়ি পাওয়ার উপযুক্ত বলে বিবেচনা করে প্রশাসন। সেই মতো শুধুমাত্র ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-র (Sorasori Mukhyomantri)) মাধ্যমে আবেদন করেই ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তাঁরাও অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন বাংলার বাড়ি প্রকল্পে।
