কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে কলকাতায় আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম

কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি, কোয়ান্টাম সেন্সিং এবং কোয়ান্টাম এআই সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে।

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং উদ্ভাবন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম (ISQCI) হল।  কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে সর্বশেষ অগ্রগতিগুলি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে এই সিম্পোজিয়াম ।প্রখ্যাত গবেষক, বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন৷ কলকাতায় মঙ্গলবার দুদিনের এই আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম শুরু হয়েছে। C-DAC কলকাতা, C-DAC পাটনা, C-DAC উত্তর-পূর্ব এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এর আয়োজন করেছে। এই বছর, সিম্পোজিয়ামটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, কোয়ান্টাম অ্যালগরিদম এবং অ্যাপ্লিকেশন, কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি, কোয়ান্টাম সেন্সিং এবং কোয়ান্টাম এআই সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে।

এই ইভেন্টটির বিশিষ্ট বক্তাদের মধ্যে আছেন বিজ্ঞানী সুনিতা ভার্মা,  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত, সি-ড্যাক কলকাতার পরিচালক ড. সিএইচ এএস মূর্তি, সি-ড্যাক পাটনার পরিচালক আদিত্য কুমার সিনহা এবং সি-ড্যাক শিলচরের পরিচালক জিতেশ চৌধুরী। এরই পাশাপাশি এই ইভেন্টে বিশিষ্ট কোয়ান্টাম বিজ্ঞানী অধ্যাপক অরুণ কুমার পতি, আইবিএম-এর ড. এল ভেঙ্কটা সুব্রামনিয়াম, আইআইটি দিল্লির ড. জয়ী ঘোষ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্লান চক্রবর্তী; সেন্টার ফর কোয়ান্টাম সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিসের অধ্যাপক প্রশান্ত কে. পানিগ্রাহি সহ আরও অনেকে অংশ নেন। তাদের আলোচনায় কোয়ান্টাম অ্যালগরিদম, সেন্সিং, ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং এআই-এর মতো অত্যাধুনিক বিষয়গুলি উঠে এসেছে।বিশেষজ্ঞরা কোয়ান্টাম গবেষণা এবং এর ব্যবহারিক শিল্পে কার্যকর করা নিয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।কোয়ান্টাম প্রযুক্তির বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়।

বিজ্ঞানী সিএইচ এএস মূর্তি বলেন, মানুষের অগ্রগতির একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে এর মাধ্যমে।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ভাস্কর গুপ্ত বলেন, সুপার কম্পিউটার বিকাশে এটি সাহায্য করছে। C-DAC ক্রমাগতভাবে আধুনিক গবেষণা চালিয়া যাচ্ছে। কোয়ান্টাম অ্যালগরিদম, ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং সেন্সিং একটি নতুন প্রযুক্তিগত যুগের সূচনা করেছে। সি-ড্যাক পাটনার ডিরেক্টর আদিত্য কুমার সিনহা   যোগ করেছেন, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত।আজ, আমরা দেখছি ১৯৮০ সালে প্রবর্তিত কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি থেকে কোয়ান্টাম ইন্টারনেট, এআই, এবং সাম্প্রতিক অগ্রগতি।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং ভারতের মতো দেশগুলিকে সক্রিয়ভাবে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং।

দ্য সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং (C-DAC) হল ভারতের একটি প্রধান গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা, যা উচ্চমানের কম্পিউটিং, ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং সফ্টওয়্যার বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অগ্রগতিতে সাহায্য করে। C-DAC জাতীয় কম্পিউটিং পরিকাঠামোর উন্নয়নে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে । বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের  উদ্যোগগুলিকে কার্যকর করতে সাহায্য করে।সি-ড্যাক একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, শিল্প এবং সরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগ করতে সাহায্য করে।