মুর্শিদাবাদে অসম পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের জালে দুই ‘জঙ্গি’! 

পাসপোর্ট আইনের ১২ (১)(এ) ধারাতেও ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে জাল পাসপোর্ট চক্রের দুই পাণ্ডাকে রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে ধৃত মহম্মদ আব্বাস ও মিনারুল শেখের বিরুদ্ধে।বুধবার ভোরে  হরিহরপাড়া থানা এলাকার বহড়ান পঞ্চায়েতে দুটি পৃথক এলাকায় স্থানীয় পুলিশ ,পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফ-কে নিয়ে হানা দেয় অসম পুলিশের এসটিএফ-এর  আধিকারিকেরা। এরপর সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আব্বাস আলি এবং মিনারুল শেখ নামে দুই যুবককে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মিনারুলের বাড়ি বহড়ানের কেদারতলা এলাকায় এবং আব্বাসের বাড়ি নিশ্চিন্তমোড়ের কাছে।

ধৃতদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল এবং একটি পেনড্রাইভ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ধৃত আব্বাস ও মিনারুল ইউএপিএ ধারায় অভিযুক্ত।এসটিএফ সূত্রে দাবি, ধৃতদের সঙ্গে জামাতুল মুজাহিদিন এবং এবিটির একটি লিঙ্ক পাওয়া গিয়েছে। মুর্শিদাবাদে আশ্রয় নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কে বা কারা সাহায্য করেছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। স্থানীয়রা কিছু বোঝার আগেই রাতের অন্ধকারে দুই যুবককে নিয়ে মুর্শিদাবাদ ছাড়ে অসম পুলিশের বাহিনী।  ধৃত দুই যুবকের বিরুদ্ধে আসাম পুলিশ বিএনএস-এর  ৬১(২),১৪৭,১৪৮ এবং ১৪৯ ধারা এবং ইউএপিএ-র ১০,১৩,১৬, ১৮(বি) ও ২০ ধারায় মামলা রুজু করেছে। পাসপোর্ট আইনের ১২ (১)(এ) ধারাতেও ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

যদিও মিনারুলের বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ স্থানীয়রা জানাতে পারেননি। ওই ব্যক্তি এলাকায় পাম্প মেশিন সারাই করতেন বলে জানা গিয়েছে। ধৃতের দাদা শামসুর শেখ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভাইয়ের শরীর খুব খারাপ। ও জলের পাম্প মেশিন সারাই করত।মাঝে মধ্যে দিনমজুর হিসেবেও কাজ করত।পুলিশ ওকে কী কারণে ধরেছে আমরা ঠিক জানি না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আব্বাস আলি এলাকায়  যথেষ্ট ‘কুখ্যাত’ । সম্প্রতি একটি মাদ্রাসায়  শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করলেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে  জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও একাধিকবার আব্বাস গ্রেফতার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নারী পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

হরিহরপাড়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই  যুবকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকটি মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ এবং বেশ কিছু আপত্তিকর নথি উদ্ধার করা হয়েছে। সম্প্রতি অসম পুলিশ গ্রেফতার হওয়া কয়েকজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে মুর্শিদাবাদে লুকিয়ে থেকে বাংলাদেশ থেকে আতঙ্কবাদীদের ভারতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে ওই দুই যুবকের।এরপরই মুর্শিদাবাদে অসম পুলিশ হানা দেয়।