জিএসটি কাউন্সিলের (GST council) বৈঠকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রগুলিই এখনও অমীমাংসিত দাবি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের (Nirmala Sitharaman)। যদিও তারই মধ্যে একদিকে বেশি শর্করার খাবারে জিএসটি বাড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়ার পাশাপাশি বিমান পরিবহনের তেলে জিএসটি না বাড়ানোরই ইঙ্গিত দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে জীবন ও স্বাস্থ্য বিমায় (insurance) জিএসটি আপাতত প্রত্যাহার হচ্ছে না বলেও জন সাধারণের দাবিকে নস্যাৎ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

রাজস্থানের জয়সলমেরে জিএসটি কাউন্সিলের ৫৫তম বৈঠকে অংশ নেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বৈঠক শেষে তিনি জানান, বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যে জিএসটির পরিমাণ বিভিন্ন হওয়ার সূচক হিসাবে শর্করাকে ধরা হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে পপকর্নকে (popcorn) তুলে ধরেন তিনি। বিভিন্ন ফ্লেভারের পপকনে শর্করা অর্থাৎ সুগারের পরিমাণ কী থাকছে, সেই হিসাব অনুযায়ী সেই পপকর্নের উপর জিএসটি লাগু হবে। সাধারণ মানুষের খাবারে এভাবে জিএসটি বসানোর নির্ণয় নেওয়া হলেও জিএসটি কাউন্সিল এখনও এভিয়েশন টারবাইন ফুয়েল (ATF), বিভিন্ন বিলাসবহুল দ্রব্য, রিয়াল এস্টেটের (real estate) মতো বিষয়ে জিএসটি বসানো নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বলেই জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।


অন্যদিকে, ২০২৪ সালের অন্তর্বর্তী বাজেটে স্বাস্থ্য বীমা ও জীবন বীমায় জিএসটি লাগু করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই পথে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন মন্ত্রী নীতিন গড়করিও (Nitin Gadkari)। এরপর জিএসটি কাউন্সিলকে এই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনার বার্তা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু শনিবারের বৈঠকে জীবন ও স্বাস্থ্য বীমার (insurance) জিএসটির বিষয়টি অমীমাংসিত থাকল বলেই নির্মলা জানান। জিএসটি কাউন্সিল (GST council) এখনো এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বলে আপাতত সরানো হচ্ছে না বিমার উপর থেকে জিএসটি।

একদিকে যখন দূষণের (pollution) কবলে রাজধানী দিল্লি। সেই মামলার জেরে দেশের সব বড় শহরগুলিকে দূষণ নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। তখন দূষণ নিয়ন্ত্রণে উপযোগী ব্যাটারী চালিত গাড়ির (battery vehicle) উপর জিএসটি বাড়ানোর পরিকল্পনা কমিশনের। যদিও এবারের কমিশনের বৈঠকে ব্যাংকের আদায় করা পেনাল্টির উপর কোন জিএসটি না চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে খানিকটা স্বস্তি দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।


–

–

–

–

–

–

–
