ত্রিপুরা দিয়েই সহজে ভারতে প্রবেশ! শতাধিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে তোপ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশকারী (immigrants) পাওয়া গেলে বিজেপি দোষ দিচ্ছে বিরোধীদের। তার আগে বিজেপিকে উত্তর দিতে হবে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গারা ত্রিপুরায় (Tripura) ঘাঁটি

0
1

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যতটা ব্যর্থ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, ততটাই তৎপরতায় এখন দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ধরপাকড়। একদিকে বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের (illegal immigrants) ধরপাকড়। অন্যদিকে বাংলা থেকেই শুরু হয়েছে জাল পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট তৈরির চক্রের জট খোলা। এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুরু হয়েছে বেআইনিভাবে বসবাসকারী ও জাল পরিচয়পত্রের চক্রের গ্রেফতারি। দিল্লি (Delhi) থেকে ১১ জনকে গ্রেফতারির পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ থেকেও গ্রেফতার হয় দুজন। তবে সবথেকে বড় ১০০ জনের চক্র গ্রেফতার হয় ত্রিপুরায় (Tripura)। এরপরই তৃণমূলের দাবি, বিএসএফের ব্যর্থতায় বিজেপি রাজ্য ত্রিপুরা দিয়েই অনুপ্রবেশের সহজ রাস্তা তৈরি করে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) অনুপ্রবেশকারীরা।

সম্প্রতি ত্রিপুরা সফরে গিয়ে মিজোরামের ব্রু জনজাতির (Bru tribals) অনুপ্রবেশকারীদের সঠিক পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার বার্তা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিএসএফের নজরদারির গাফিলতির কথা আন্দাজ করেই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের থেকে ভারতীয়দের আলাদা করতেই এই বার্তা দিয়েছিলেন শাহ। এরপরই সোমবার তিন বাংলাদেশীকে ট্রেনে ওঠার আগে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার আগরতলায় ১০ রোহিঙ্গা (Rohinga) সহ ১০০ বাংলাদেশি গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র (fake id)। স্বাভাবিকভাবেই বারবার বাংলায় বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ নিয়ে আঙুল তোলা অমিত শাহকে এক হাত নেয় রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশ হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। এখনও পর্যন্ত খবর কিছু দল সাত আট বছর ধরে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে। ত্রিপুরায় শাসন বিজেপির। সীমান্ত অমিত শাহর বিএসএফের (BSF)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MEA) ব্যর্থতা সেখানে। সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেন, এগুলো বিজেপি নেতারা দেখতে পাচ্ছেন না?

দিল্লি পুলিশের জালে বেআইনি অনুপ্রবেশের একটি চক্র মঙ্গলবার ধরা পড়ে। সেখানেই জাল পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে হয় তদন্ত। সেই সূত্রে ৫ বেআইনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi immigrants) গ্রেফতার করা হয়। তাদের ভুয়ো পরিচয়পত্র পাইয়ে দিতে সাহায্য করা ৬ দালালকেও (agent) গ্রেফতার করা হয়। তাদের থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৪০০-৫০০ ভুয়ো ভিসা (Visa)। বিভিন্ন দেশে যাওয়ার ছাড়পত্র মিলত এই ভিসায়। বাংলাতেও এভাবেই ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির হদিশ থেকে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। যে তদন্তে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র সরকারের ডাক বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাসপোর্ট বিভাগের যোগ পাওয়া যায়। সেই তদন্তের সূত্র ধরেই মঙ্গলবার বাংলার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে গ্রেফতার হয় সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি। তার থেকে বেঙ্গালুরুর ভুয়ো পরিচয়পত্রও উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে তাকে ভারতে নিয়ে আসা দালালকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

অনুপ্রবেশ থেকে ভুয়ো নথি তৈরি নিয়ে সর্বত্র কেন্দ্রের সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণিত হচ্ছে, দাবি তৃণমূলের। কুণাল ঘোষের দাবি, ত্রিপুরা (Tripura) থেকে ট্রেন ধরে যাচ্ছিল কলকাতা, দিল্লিতে। এরপর বাংলায় কোনও অনুপ্রবেশকারী (immigrants) পাওয়া গেলে বিজেপি দোষ দিচ্ছে বিরোধীদের। তার আগে বিজেপিকে উত্তর দিতে হবে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গারা ত্রিপুরায় (Tripura) ঘাঁটি গাড়ছে। সেখান থেকে দিল্লি যাচ্ছে। যদি কোনও অবৈধ লোক ঢুকে থাকে এখানে তাহলেও বিএসএফের ব্যর্থতা সীমান্তে।