আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মানচিত্রে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান যে বেশ নড়বড়ে তা টের পাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Mohammed Yunus)। ফলে একদিকে যেমন দ্রুত নির্বাচন করার বার্তা দিচ্ছেন। তেমনি সেই নির্বাচন প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক রাখার প্রকাশ্যে দাবি করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন কমিশনার। তাতেই জায়গা দিতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকেও (Awami League)। নির্বাচনে পাছে ফের আওয়ামি লীগ জায়গা নিয়ে নেয় তা ঠেকাতে মাঠে নামছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কোনভাবেই হাসিনা Sheikh Hasina) মুজিবের (Mujibur Rahman) বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনা ঠেকাতে ব্যস্ত বাংলাদেশের ছাত্র নেতারা।

বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগকে (Awami League) নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি ওঠার পরেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে তার প্রতিবাদ। প্রতিবাদের মুখে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEO) এম নাসির উদ্দিন ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন নির্বাচন কমিশন আওয়ামি লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ খোলা রেখেছে। দেশের সরকার এবং আদালত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ (Banning) না করা পর্যন্ত তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের এই ঘোষণাতেই চাপে পড়ে যায় বৈষম্যের বিরোধিতা করা ছাত্র সংগঠন। রাতারাতি বৈঠক করে দেশের সংবিধান (constitution) বদলের আন্দোলন নতুন করে জাগিয়ে তোলার ঘোষণা করে তারা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সংবিধান বদলের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা কার্যকর দ্রুত করতে হবে। সেই সময় তাদের দাবিতে ছিল সংবিধান থেকে হাসিনা ও মুজিবের প্রতিষ্ঠিত সব অংশ মুছে ফেলতে হবে।

কার্যত ফ্যাসিবাদী তকমা দিয়ে আওয়ামি লীগকে অসাংবিধানিক ঘোষণার দাবিতে পথে নামছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলনে আওয়ামি লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য চাপ বাড়বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপর। যদিও ছাত্রদের এই দাবির পক্ষে নেই দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ইতিমধ্যেই নির্বাচন ঘোষণা নিয়ে ইউনুস ও অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম। তাদের দাবি অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সংবিধান বদলের ঘোষণাপত্র কার্যকর করা কতটা বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। মঙ্গলবারের আন্দোলন একান্তভাবে ছাত্রদের সিদ্ধান্ত। বিএনপি’র সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই বলেও তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন।



–


–

–

–

–
–

–
