মালদহের হাসপাতাল থেকে বাড়িতে দুলালের দেহ, তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে বাড়ছে গ্রেফতারি 

মালদহের (Maldah) ইংরেজবাজারে বৃহস্পতিবার সকালে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূল সহ-সভাপতি দুলাল সরকার (Dulal Sarkar) ওরফে বাবলা। ২ জানুয়ারির এই ঘটনায় রাতের মধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছিল মালদহ জেলা পুলিশ (Maldah District Police)। সকালের মধ্যে আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী (Krishnendu Narayan Chowdhury)। এদিন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Maldah Medical College and Hospital) থেকে দুলালের দেহ তাঁর মহানন্দাপল্লীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকায় শোকের ছায়া। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তৃণমূল (TMC) নেতাদের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষও ভিড় জমিয়েছেন। চোখের জলে স্বামীকে বিদায় জানান চৈতালি সরকার, ছিলেন অভিনব সরকার (দুলালের ছেলে) ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।ওয়ার্ড অফিসেও মরদেহ রাখা হয়।সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ। শুক্রবার দুপুরে কাউন্সিলরের শেষকৃত্য হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

প্রিয় নেতার শেষ বিদায়ে শুক্রবার সকাল থেকেই মালদহের কানির মোড় থেকে মহানন্দাপল্লী, গয়েশপুর,ঝলঝলিয়া এলাকা যেন অলিখিতভাবে বনধের রূপ নিয়েছে।প্রত্যেকের দাবি একটাই অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চাই। এদিন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী জানান, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১০ লক্ষ টাকার সুপারি দিয়ে ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে ডিল করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। পুরপ্রধান আরও বলেন যে মোট ছজন ছিল, যার মধ্যে একজন পালিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবারই মহম্মদ সামি আখতার নামের বিহারের কাটিহারের এক বাসিন্দা এবং ইংরেজবাজারের গাবগাছি অঞ্চলের টিঙ্কু ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আরও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট গ্রেফতারির সংখ্যা ৭।