Thursday, August 28, 2025

দানের ২৫ শতাংশ টাকায় মন্দিরটা কংক্রিটের করে দেন! মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া কপিলমুনির আশ্রমে

Date:

আমাদের যা করার ছিল করেছি। কিন্তু কপিলমুনির মন্দিরের সামনে সাগর মাঝেমাঝেই এগিয়ে আসে। মন্দির তিনবার সাগরে ডুবেও গিয়েছিল। যদি কংক্রিটের করে দেন, যাতে জলে ডুবে না যায়। সোমবার, গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) কপিলমুনির আশ্রমে গিয়ে আশ্রম কর্তৃপক্ষের কাছে এই আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কপিলমুনির মোহান্তি তাতে সম্মত হয়েছেন।

এদিন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে বাংলাদেশে আটকে পড়া মৎস্যজীবীদের সাহায্য-উপহার তুলে দেন মমতা। সেখান থেকে প্রথমে যান ভারত সেবাশ্রম সংঘে। তার পরে যান কপিনমুনির আশ্রমে। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, ফি-বছর গঙ্গাসাগর মেলায় কোটি কোটি পুণ্যার্থী আসেন। তাঁরা কপিল মুনির আশ্রমে দানও করেন।  সেই দানের পুরো টাকাটাই চলে যায় উত্তরপ্রদেশে অযোধ্যার মূল মন্দিরে। মমতার কথায়, “কপিলমুনির মোহন্তিকে এবারে আমি একটা রিকোয়েস্ট করেছিলাম, যে মেলাকে কেন্দ্র করে যেভাবে ১ কোটির ওপর মানুষ আসেন, সেখান থেকে যা আয় হয় তার সবটা অযোধ্যায় না পাঠিয়ে ২৫ শতাংশ টাকা দিয়ে মন্দিরটা যদি কংক্রিটের করে দেন, যাতে জলে ডুবে না যায়। উনি রাজি হয়েছেন।”

মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষর তরফে জানানো হয়, এবারে পুণ্যার্থীদের থেকে যে টাকা আয় হবে তার ২৫ শতাংশ টাকা মন্দিরকে ক্রংক্রিটের করার কাজে ব্যবহার করা হবে।

মমতা বলেন, আগে তো গঙ্গাসাগরে কিছু ছিল না, তিন বার মন্দির ডুবেছে। সমুদ্র এগিয়ে আসছে। তবু আমরা সব চেষ্টা করছি। মুড়িগঙ্গায় সেতু নির্মাণের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। ২-৩ বছর পর থেকে মানুষকে আর কষ্ট করে জল পেরিয়ে আসতে হবে না।

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version