রিপোর্ট পেয়েই পদক্ষেপ: মেদিনীপুরে প্রসূতি-মৃত্যুতে CID-কে তদন্তভার রাজ্যের

স্যালাইনের (saline) কারণে মৃত্যু কিনা তা তদন্তের পরই জানা যাবে বলে জানান মুখ্যসচিব। তার জন্য একদিকে ১৩ সদস্যের প্রশাসনিক টিম তদন্ত করবে, পাশাপাশি সিআইডি (CID) তদন্ত

0
2

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতির মৃত্যুর রিপোর্ট সোমবার জমা পড়ার পরই পদক্ষেপ রাজ্য প্রশাসনের। একদিকে ১০ জনের সিনিয়র আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে বিস্তারিত তদন্তের জন্য সিআইডি-কে (CID) তদন্তভার দেওয়া হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী গাফিলতির দাবি করেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary) মনোজ পন্থ। সেই সঙ্গে তিনি জানান যে তরফে গাফিলতি প্রমাণিত হবে তদন্ত অনুযায়ী, সেখানেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

৯ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার পরই প্রথমে রিপোর্ট তলব করে স্বাস্থ্য দফতর (Department of Health)। নবান্ন-র (Nabanna) তরফ থেকেও দুদিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়। সোমবার রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই গুরুতর গাফিলতির অভিযোগ উঠে আসে বলে জানান মুখ্যসচিব। তিনি জানান, যে ইউনিট সেদিন মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতিদের চিকিৎসায় ছিলেন তাঁদের তরফ থেকে গাফিলতির তথ্য উঠে এসেছে প্রাথমিক রিপোর্টে। সেই সঙ্গে চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েও গাফিলতি নিয়ে মুখ্যসচিব জানান, অস্ত্রোপচারে সিনিয়র চিকিৎসক (senior doctor) ছিলেন না ট্রেনি ডাক্তার (trainee doctor) ছিলেন। যারা ট্রেনি ডাক্তার তাদের সিনিয়র চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হয়, এটা নিয়ম। সেই নিয়ম ভাঙা হয়েছে।

তবে স্যালাইনের (saline) কারণে মৃত্যু কিনা তা তদন্তের পরই জানা যাবে বলে জানান মুখ্যসচিব। তার জন্য একদিকে ১৩ সদস্যের প্রশাসনিক টিম তদন্ত করবে, পাশাপাশি সিআইডি (CID) তদন্তও চলবে। সেক্ষেত্রে প্রসূতি মৃত্যুর কারণ নিয়ে মুখ্যসচিবের (Chief Secretary) দাবি, তদন্ত রিপোর্টের পরই জানা যাবে স্যালাইনের জন্য, অপারেশনের পরের জটিলতার জন্য বা অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট দুদিনের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। আরও তিন দিনের মধ্যে দফতর থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট আসবে। গবেষণাগারে যে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে ১৪ দিন সময় লাগবে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে। তারপরই মৃত্যুর কারণ যেমন জানা যাবে, তেমনই গাফিলতির জন্য কারা দায়ী সেই তথ্যও প্রকাশ্যে আসবে।

সোমবার ফের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রিঙ্গার ল্যাকটেট নিষিদ্ধ বলে প্রাথমিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ ওষুধ কোম্পানির যে ওষুধ রয়েছে সব ব্যাচের পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ৭ জানুয়ারি নিষিদ্ধ ওষুধ কোম্পানির উপর ফের একবার নিষিদ্ধ বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল বলে জানান স্বাস্থ্য সচিব (Health Secretary) নারায়ণস্বরূপ নিগম। তিনি জানান, সব ওষুধের ক্ষেত্রেই NABL থেকে পরীক্ষা করে সব ব্যাচ ছাড়া হয়। রুটিন পরীক্ষায় নিষিদ্ধ সংস্থা থেকে ওষুধ আসার বিষয়টি নজরে আসতেই উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ৭ জানুয়ারি তখনই বিস্তারিত তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৮-৯ জানুয়ারি মেদিনীপুরের দুর্ঘটনা ঘটে।