আজ ছিল মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুতে বার্ষিক সাধারণ সভা। মোহনবাগান ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা উত্তপ্ত হয়ে উঠল দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে। মার্চ মাসে শেষ হচ্ছে মোহনবাগানের বর্তমান কার্যকরী কমিটির মেয়াদ। সময়মতো নির্বাচন সেরে নতুন কমিটি গঠন করার দাবিতে সরব হলেন সদস্য, সমর্থকদের একটা বড় অংশ। তাতেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে ক্লাবের সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যায়নি।
ক্লাবের বার্ষিক সভা শুরু হয় দুপুর ৩টের সময়। সচিব দেবাশিস দত্ত প্রথমে বক্তব্য রাখেন। এরপর প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু বক্তব্য রাখতে গিয়ে সময়মতো নির্বাচনের দাবি তোলেন, যা হওয়ার কথা আগামী মার্চে। তখন দেবাশিস জানান, নিয়ম মেনেই নির্বাচন হবে। সেটা জুন-জুলাই মাসে হতে পারে। ২০১৮ সালের পর ২০২১-এ নির্বাচন হওয়া উচিত ছিল। সেটা তখন হয়নি। সচিবের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন সৃঞ্জয়। তিনি বলেন, ‘‘তখন কোভিডের সময় ছিল। সব কিছু থমকে গিয়েছিল। আমি সচিব ছিলাম বলে সেই সময়ের ব্যর্থতা, এটা বলা উচিত হবে না।”
এরপরই দুই গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা বেঁধে যায়। রাগে কেউ চেয়ার ছুঁড়তে উদ্যত হয়। তবে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসেন কুণাল ঘোষ। তিনি সবাইকে শান্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘‘নির্বাচন সংক্রান্ত নিয়ম নিয়ে যখন দু’রকম ব্যাখ্যা আসছে, তখন মতানৈক্য তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। আমি সচিবকে অনুরোধ করছি, দ্রুত কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডাকা হোক। যাঁরা নির্বাচন সংক্রান্ত নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁদের বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে ডাকা হোক। এক টেবিলে মুখোমুখি বসে আলোচনা করুন সবাই। সেখানে থাকবেন বিশেষজ্ঞরা। এরপর আইন অনুযায়ী যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেটা নেবেন নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়।’’
পরে কুণাল বলেন, ‘‘আমি খুশি যে দু’পক্ষই আমার পরামর্শ গ্রহণ করেছে এবং সচিব জানিয়েছেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিনি কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডাকবেন।“ সভা শেষে সৃঞ্জয় বলেন, ‘‘আমরা সবাই মোহনবাগানী। এখানে বিরোধী বলে কিছু নেই। সবাই চায় ক্লাবের সাফল্য। নির্বাচন নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটা মিটে গিয়েছে। আমরা চাই স্বচ্ছ নির্বাচন। সেটা যেন দ্রুততার সঙ্গে সময়ে করা যায় সেটা দেখা উচিত।’’
বার্ষিক সভায় ঝামেলার বিষয়টিকে অবশ্য পাত্তা দিলেন না দেবাশিস। বলেন, ‘‘ধাক্কাধাক্কিতে কেউ আহত হয়েছে কি না আমার জানা নেই। আগে এজিএমে অনেক বড় ঝামেলা হয়েছে। তাছাড়া ক্লাবে এরকম উত্তেজনা থাকে। আমরা ফুটবলের সমর্থক। ৯০ মিনিট ধরে উত্তেজনা থাকে। আগে এজিএম হতই না। এখন তো ঠিক সময়ে নির্বাচন হয়।’’
আরও পড়ুন- বিকল্প অধিনায়ক খোঁজা শুরু বোর্ডের, ইঙ্গিত আগারকারের কথায়
–
–
–
–
–
–
–