বেসরকারি হাসপাতালে নিজের খরচে ও ঝুঁকিতে চিকিৎসা করাতে পারবেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অনুমতি দিল আদালত। তবে শর্ত হিসাবে আদালত বলেছে, নিজের ঝুঁকিতে এবং নিজের খরচে তা করতে হবে। মঙ্গলবার নিম্ন আদালতের বিচারক এই নির্দেশ দেন। গত ২০ জানুয়ারি জেলে অসুস্থ হওয়ায় পার্থকে ভর্তি করা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই চলছিল তার চিকিৎসা।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিটিশনের ভিত্তিতে আদালত এসএসকেএম থেকে তার শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট তলব করেছিল। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পার্থর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে, বিশেষত সংক্রমণের সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর পরেই বিচারক পার্থকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার অনুমতি দেন।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সমস্ত চিকিৎসার খরচ তাকেই বহন করতে হবে। এসএসকেএমের রিপোর্ট অনুযায়ী, পার্থের শারীরিক অবস্থায় কিছু উন্নতি হলেও সম্পূর্ণ সুস্থ হননি।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত পার্থ গত আড়াই বছর ধরে জেলে। ২০২২ সালের ২২ জুলাই তাকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির পরে সিবিআইয়ের হাতেও গ্রেফতার হন পার্থ। যে দিন গ্রেফতার হন, সে দিনই পার্থকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি কেন এসএসকেএমে ভর্তি হতে চাইছেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ইডি।

হাইকোর্টের বিচারপতিও এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী পার্থর আইনজীবীকে বলেছিলেন, এসএসকেএম প্রতিটি প্রভাবশালীর জন্য নিরাপদ জায়গা। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে ভুবনেশ্বরের এইমসে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থকে। সেখানেই তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় ইডি। এর পরে জেলে বেশ কয়েক বার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পার্থ। হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদনও তিনি করেছেন আদালতে। জেল হাসপাতাল থেকে গত সোমবার পার্থকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।

জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই ‘প্যানিক অ্যাটাক’ হয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রীর। জেলের মধ্যেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ এসএসকেএম কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এর পরে সোমবার হঠাৎ জেলে অসুস্থ বোধ করলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন এবং এসএসকেএমে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেন।

–

–

–

–

–

–

–

–
