মহাকুম্ভে ঘটে গেল মহাবিপর্যয়। মৌনি অমাবস্যায় অমৃতস্নানের আগেই পদদলিত হয়ে মৃত্যু হল অন্তত ১৫ জনের। সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গভীর শোকাহত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, অন্তত ১৫ নিষ্পাপ প্রাণ চলে গিয়েছে মহাকুম্ভে পদদলিত হওয়ার ঘটনায়। আমার মন পড়ে রয়েছে সেই সব শোকাহত তীর্থযাত্রীদের পরিবারের সঙ্গে। প্রার্থনা এই যে, নিহত তীর্থযাত্রীদের বিদেহী আত্মা চিরশান্তি লাভ করুক। তাদের শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।

তীর্থযাত্রীদের পরিবারের পাশে থাকার পাশাপাশি যোগী প্রশাসনকেও একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর মেলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এক্স বার্তায় লিখেছেন, আমাদের গঙ্গাসাগর মেলা থেকে আমার শিক্ষা হল যে বিশাল জনসমাবেশে তীর্থযাত্রীদের জীবন সংক্রান্ত বিষয়ে পরিকল্পনা এবং যত্ন সর্বাধিক হতে হবে। রাজ্য সরকার যত্নশীল ছিল বলেই গঙ্গাসাগর ছিল দুর্ঘটনা মুক্ত।

উল্লেখ্য, যোগীরাজে মহাকুম্ভ মেলায় কোটি কোটি পুণ্যার্থীর নিরাপত্তার বালাই নেই। কেন্দ্রের যথোপযুক্ত সাহায্য পাওয়ার পরও যোগী প্রশাসন নির্বিকার থেকেছে বৃহত্তর এই জনসমাগম নিয়েও। এমনকী এত বড় একটা দুর্ঘটনার পরও, মহাকুম্ভে অমৃতস্নান চালানোর ‘গা জোয়ারি’ মনোভাব দেখিয়ে চলেছে যোগী সরকার।মৌনি অমাবস্যায় মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কাঠগড়ায় আদিত্যনাথের প্রশাসন। এর আগে মহাকুম্ভে আগুন লেগে আড়াইশোর বেশি তাঁবু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। এবার পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা। প্রমাণিত কেন্দ্রের কাছ থেকে ‘জাতীয় মেলা’র তকমা পাওয়া কুম্ভ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ যোগী সরকার।

–
–

–

–

–

–

–

–

–
–