ক্লাসরুমের (Classroom) ভিতরে বিয়ের আসর ‘বর’ কলেজেরই প্রথম বর্ষের ছাত্র (Student)। আর ‘কনে’ অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান! এই চমকপ্রদ বিয়ের ভিডিও ভাইরাল হতেই তুমুল শোরগোল রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ম্যাকাউট’-এর হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বিভাগীয় প্রধানকে ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে ঘটনার পর থেকেই হদিশ নেই ‘বর-কনে’র বিয়ের সাক্ষীরাও মুখ খুলতে নারাজ।

ভাইরাল ভিডিও-র (সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’) দেখা যাচ্ছে, ক্লাসরুমেই কনের সাজে দাঁড়িয়ে থাকা অধ্যাপিকা। তাঁর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন এক ছাত্র। এই বিয়ের সাক্ষী ক্লাসের অন্যান্য পড়ুয়ারা। তাঁরা আবার বিভিন্ন রকম নির্দেশ দিচ্ছেন। ছাত্র যথেষ্ট নার্ভাস, তবে অধ্যাপিকা দারুন হাসিখুশি। মঙ্গলবার রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের এই ভিডিওটি ভাইরাল (Video Viral) হতেই তুমুল চর্চা। কারণ ভিডিওয় যে ছাত্রকে বর রূপে দেখা যাচ্ছে তাঁর সঙ্গে বিভাগীয় প্রধানের বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কানাঘুষো। ভিডিও ভাইরাল হতে সেই আগুনে ঘি পড়েছে। আর এর পরেই তড়িঘড়ি ওই বিভাগীয় প্রধানকে ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় (University) কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানান, কেন ক্লাসরুমে এক পড়ুয়ার সঙ্গে তিনি মালাবদল ও সিঁদুর দান করলেন, তা ওই মহিলা অধ্যাপকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

উপাচার্য অবশ্য জানান, অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন, এটা পাঠ্যক্রমে থাকা প্রজেক্টের অঙ্গ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এটা যদি সিলেবাসের অঙ্গই হয়ে থাকে তাহলে ওই মহিলা বিভাগীয় প্রধানকে ছুটিতে পাঠানো হল কেন? কেনই বা তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ? যে ছাত্রছাত্রীরা এই বিয়ের সাক্ষী ছিলেন তাঁদেরই বা মুখে কুলুপ কেন? তাঁরাও তো এগিয়ে এসে বলতে পারতেন, এটা তাঁদের প্রজেক্ট। ‘নবদম্পতি’র উধাও হয়ে যাওয়ায় রহস্য আরও বেড়েছে।

–


–

–

–

–

–

–

–
