গুণমান পরীক্ষায় ডাহা ফেল, এবার কালো তালিকাভুক্ত ফার্মা ইমপেক্সের স্যালাইন!

স্যালাইনের সমস্যা পিছু ছাড়ছে না। রাজ্যের হাসপাতালে ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’-এর স্যালাইন নিয়ে তোলপাড়ের পরই,তাদের কালো তালিকাভুক্ত করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। তাদের পরিবর্তে ফার্মা ইমপেক্সের স্যালাইন ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বারুইপুরের এই সংস্থার কারখানায় জোরকদমে উৎপাদন শুরু হয়েছিল। কিন্তু গুণমান পরীক্ষার মান টপকাতে পারল ফার্মা ইমপেক্সের স্যালাইন। যার জেরে এই সংস্থার স্যালাইনও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল।

জানা গিয়েছে, কেন্দ্র ও রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের আধিকারিকরা হঠাৎই হানা দেন স্যালাইন উৎপাদন কারখানায়। গুণমান পরীক্ষা করার পর তারা জানিয়ে দেন, ফার্মা ইমপেক্সের স্যালাইনেও সমস্যা রয়েছে। ফলে এই সংস্থাকেও কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।পরপর দুটি কোম্পানির স্যালাইন নিষিদ্ধ হওয়ায় রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা নিয়ে কপালে ভাঁজ স্বাস্থ্য দফতরের।

দিনকয়েক আগে মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুতে অভিযোগ উঠেছিল, স্যালাইনের(saline) সমস্যার কারণেই এই বেঘোরে পারাণ দিতে হয়েছে। বিষয়টি এতদূর গড়ায় যে, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজ্য।এরই পাশাপাশি, ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’-এর স্যালাইন নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। বিকল্প হিসেবে স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দেয় যে বারুইপুরের বেসরকারি সংস্থা ফার্মা ইমপেক্সের স্যালাইন সমস্ত হাসপাতালে ব্যবহার করতে হবে। তারও গুণমান ঠিক না থাকায় বাতিল করা হয়েছে। জরুরী বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।এরপরই হাসপাতালগুলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, ওই দুটি সংস্থা ছাড়া আর কোন কোন সংস্থার কতগুলি স্যালাইন তাদের কাছে রয়েছে। একের পর এক সংস্থার স্যালাইন নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়ায় রীতিমতো সিঁদূরে মেঘ দেখছে স্বাস্থ্য দফতর।কীভাবে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা সম্ভব সেটাই তাদের কাছে এখন বড় প্রশ্ন। কারণ যে কোনও রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে, তার প্রাথমিক চাহিদাই থাকে স্যালাইন। তাতেই গলদ দেখা দেওয়ায় চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।