Thursday, November 6, 2025

জনসাধারণের পকেট খালি, রোজগারের পথ তৈরি প্রয়োজন: দাবি অর্থনৈতিক সমীক্ষায়!

Date:

কার্যত দেশের ডুবতে বসা অর্থনীতির কথাই ২০২৫ বাজেট পেশের আগে অর্থনৈতিক সমীক্ষার (economic syrvey) মধ্যে দিয়ে মেনে নিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন সেই দিকগুলি যে ক্ষেত্রগুলিতে উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫-এ (Union Budget 2025-26)। সেই সঙ্গে কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয় দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ থেকে বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে ফেল মোদি সরকারের অর্থ মন্ত্রক।

গত কয়েক বছরে নিম্নমুখী দেশের অর্থনীতি, যার সরাসরি প্রভাব জিডিপি (GDP) থেকে শেয়ার বাজার সর্বত্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে জিডিপি (GDP) থাকবে ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশ। করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে গোটা দেশ অর্থনীতিতে হাহাকার দেখেছিল, সেখানে জিডিপি ছিল ৫.৮ শতাংশ। বিশ্বের একাধিক দেশ তথা গোটা দেশ ঘুরে প্রবল উন্নয়নে ঢেঁড়া পেটানো নরেন্দ্র মোদি করোনা পরিস্থিতির পরে সর্বনিম্ন জিডিপির নজির রাখতে চলেছে আগামী অর্থনৈতিক বর্ষে।

সমীক্ষা অনুযায়ী অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) প্রতিশ্রুতি দেন, মুদ্রাস্ফীতি (inflation) নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। তার জন্য মূলত যে নীতিগুলি নেওয়া হবে তার মধ্যে অন্যতম জনসাধারণের ঘরোয়া অর্থনৈতিক (domestic economy) উন্নয়ন। অর্থাৎ বর্তমানে যে সাধারণ মানুষের পকেটে টাকা নেই ও তার জন্য তাঁদের ক্রয়ক্ষমতার উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে, তা মেনে নিলেন অর্থমন্ত্রী (finance minister)। সেই সঙ্গে কেন্দ্র সরকারও যে কোনও নীতি নেয়নি এই বিষয়ে তাও স্পষ্ট হয়ে গেল।

দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বৈদেশিক বিনিয়োগে জোর দেওয়ার কথা জানান অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বিদেশের বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মানসিকতাও তৈরিতে জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। তার জন্য দেশের বুনিয়াদি স্তরে কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন বলে সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। সেক্ষেত্রেও এতদিন ধরে ভারতে স্টার্টআপের ঢেঁড়া পেটানো মোদি (Narendra Modi) সরকারের ব্যর্থতাই কার্যত প্রমাণিত হয়। সেখানেই যে বিপুল কর্মসংস্থানের ভুয়ো বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্টে (economic survey report)। সেক্ষেত্রে নতুন নীতি (policy) তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার নতুন হুমকির প্রভাব যে ভারতের অর্থনীতিতে পড়তে চলেছে তারও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় সমীক্ষায়। একদিকে যখন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় মুদ্রাস্ফীতি (inflation) নিয়ন্ত্রণের তখনই বিশ্বের অর্থনৈতিক রাজনীতিতে ওঠা সংকটের প্রভাব ভারতের অর্থনীতিতে পড়তে চলেছে বলে জানায় সমীক্ষা।

তবে এই সংকটজনক পরিস্থিতিতেও সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টার বেশি কাজ কর্মীর পক্ষে ক্ষতিকারক বলে জানিয়েছে অর্থনৈতিক সমীক্ষা। সম্প্রতি বেসরকারি একাধিক সংস্থা যেভাবে ৭০ থেকে ৯০ ঘণ্টা পর্যন্ত সাপ্তাহিক কাজে জোর দিয়েছে তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে দাবি সমীক্ষায়। সেই সঙ্গে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি সচল রাখতে পেনশন প্রকল্পগুলিতে (pension scheme) জোর দেওয়ার কথা পেশ করেন নির্মলা সীতারমণ।

Related articles

বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় আজ বিহারে ১২১ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ

আজ থেকে শুরু হল বিহার বিধানসভা নির্বাচন। বৃহস্পতিবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ (Bihar Election 2026 First Phase)।এই পর্বে মোট...

KIFF: সিনেপার্বণের সূচনায় আজ শহরে নক্ষত্র সমাবেশ, বিকেলে ফিল্মোৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

রুপোলি সিনেমা শহরে দিল পা, বছর ঘুরে আবার এল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (31st Kolkata International Film Festival...

সুপ্রিম নির্দেশে রাজ্যে ফের শুরু ১০০ দিনের কাজ, নবান্নে তৎপরতা তুঙ্গে 

প্রায় তিন বছর পর ফের রাজ্যে শুরু হতে চলেছে কেন্দ্রীয় ১০০ দিনের কাজ (এমজিএনআরইজিএ) প্রকল্প। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা...

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...
Exit mobile version