রান্নাঘর দখলের লড়াইয়ে শাশুড়ি-বৌমার মামলা কলকাতা হাইকোর্টে!

বঙ্গজীবনে শাশুড়ি বনাম বৌমার লড়াই চির পরিচিত। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির রান্নাঘর কার দখলে থাকবে তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)মামলা গড়াচ্ছে এই ঘটনা শুধু বিরল নয় বেশ চমকে দেওয়ার মতো তো বটেই। কে ঠিক শাশুড়ি না বৌমা তা খতিয়ে দেখে রান্নাঘরের সঠিক দাবিদারকে খুঁজে বের করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Tirthankar Ghosh)।

ঠিক কি ঘটনা? জানা যায় ২০২৩ সালের ২ অগস্ট স্বামীকে হারান অঞ্জু রায় (Anju roy)নামে এক মহিলা। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে। প্রত্যেকেরই বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে বিশ্বজিৎ রায় সংলগ্ন একটি বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে আলাদাভাবে থাকেন। অভিযোগ, ছেলে এবং ছেলের বউ প্রায়শই নগদ অর্থ ও গয়নার ভাগ বাটোয়ারা করার জন্য অঞ্জুর উপর চাপ সৃষ্টি করতেন। এমনকি রান্নাঘরটিও তাঁরা দখল করে নিয়েছেন বলে শাশুড়ির অভিযোগ। তিনি বলছেন, তাঁকে নিজের বাড়িতেই একঘরে হয়ে থাকতে হচ্ছে। বেডরুমে রান্না করে খেতে হচ্ছে। পুলিশকে জানিয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রবীণ অঞ্জু রায়। বিষয়টি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানিয়েছেন বলেও খবর। আদালত সূত্রে জানা গেছে চিৎপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় রান্নাঘরের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে অঞ্জুদেবী। তাঁর দাবি, রান্নাঘর থেকে তাঁর সমস্ত জিনিস আসবাব জোর পূর্বক বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অথচ সিনিয়র সিটিজেন আইন অনুযায়ী, তাঁরই রান্নাঘরের সুবিধা পাওয়া উচিত। এজলাসে নজিরবিহীন এই মামলা উঠতে প্রথমে কিছুটা চমকে যান তীর্থঙ্কর ঘোষ। সবপক্ষের বক্তব্য শুনে রান্নাঘরের অধিকার অঞ্জু রায়ের নাকি তাঁর বৌমার, তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চিৎপুর থানার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।