মুজিবের স্মৃতি ভাঙার নিন্দা: বাংলাদেশের হুঁশিয়ারি উড়িয়ে বার্তা ভারতের

বাংলাদেশের প্রতিরোধের প্রতীক ছিল, যা ৫ ফেব্রুয়ারি ধ্বংস করা হয়েছে। স্পষ্ট জানানো হয়েছে এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজে জোরালো নিন্দা (strongly condemn)

উন্মত্ত জনতার হাতে আগুনে পুড়ে, ভেঙে শেষ বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের শেষ স্মৃতি। বাংলাদেশে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতের ছবি দেখে কোথাও মনে হয়নি দেশের আইনের শাসন রয়েছে। যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে, তাদের বিন্দুমাত্র নিন্দা বার্তা শোনা যায়নি এই ঘটনার পরে। স্বাভাবিকভাবেই এতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুখ্য প্রশাসক মহম্মদ ইউনূসের (Mohammed Yunus) মদতেই ভাঙা হয়েছে ৩২ নম্বর ধানমান্ডির (DHanmandi) বাড়ি। কোনওভাবেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাঙার সমর্থন ভারত যে করে না, তা বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) তরফে।

মুজিবের বাড়ি ভাঙার পরে স্বাভাবিকভাবে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Shiekh Hasina)। তাঁর অডিও বার্তায় একদিকে যেমন ওই বাড়ির ইতিহাস ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা উঠে আসে। তেমনই কাদের প্ররোচনায় বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল, তাও স্পষ্ট করে দেন হাসিনা। সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে মুখ্য প্রশাসক মহম্মদ ইউনূসের একাধিক কীর্তিও উঠে আসে।

এরপরই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করা হয় ভারতকে সতর্ক করে। ভারতের উপরাষ্ট্রদূতকে (Dy High Commissioner) ঢাকায় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রকের (Foreign Ministry) তরফ থেকে ডেকে পাঠিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠির সারমর্ম, হাসিনা যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে ‘শান্তি’ নষ্ট হবে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে শেখ হাসিনার এই ধরনের বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করার নির্দেশ ভারতকে দেওয়া হয় মন্ত্রকের তরফে।

তবে তাতে যে আদৌ কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না ভারত তা স্পষ্ট করে দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA)। বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, শেখ মুজিবর রহমানের বাড়ি দখলদার ও অত্যাচারি শাসকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতিরোধের প্রতীক ছিল, যা ৫ ফেব্রুয়ারি ধ্বংস করা হয়েছে। স্পষ্ট জানানো হয়েছে এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজের জোরালো নিন্দা (strongly condemn) করা হচ্ছে।