পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিধায়ক ভাতা নিয়ে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।কারণ, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে টানা ২৩ মাস জেলবন্দি ছিলেন।সেই সময়কালে আদৌ তিনি তার বিধায়ক ভাতা পাবেন কিনা, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেল থেকে তিনি মুক্তি পান। তারপরই নিজের বকেয়া ওই বিধায়ক ভাতার জন্য বিধানসভায় আবেদন করেন মানিক। এখন বিধায়ক ভাতা মুখ্যমন্ত্রী বাড়িয়ে দেওয়ায়, বকেয়া টাকার পরিমাণ লাখে পৌঁছেছে। সেটার জন্যই আবেদন করেন মানিক।যদিও সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, বেতন পাওয়ার কথা নয় মানিকের। আবার অন্যদিকে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে রুল জারি করেননি।তাই মানিকের বকেয়া বেতন পাওয়ার বিষয়টি বিশ বাঁও জলে।

এই বিষয়টি নিয়ে শুনানি করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ শুনানির পর বিধানসভার অধ্যক্ষ জানিয়ে দেন, জেলে থাকার সময়ের বিধায়ক ভাতা পাবেন না মানিক ভট্টাচার্য। অ্যাডভোকেট জেনারেলের (এজি) পরামর্শ নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আসলে মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। দীর্ঘ সময় তিনি জেলে ছিলেন। সদ্য জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এখন বিধানসভার টিএ–ডিএ বিভাগে জমা দেন চিকিৎসা সংক্রান্ত একাধিক বিল। তার সঙ্গে জেলে থাকাকালীন সময়ের বকেয়া বেতনের আর্জিও জানান। বারবার এই আবেদনের পর এজির পরামর্শ চান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এজি সরাসরি স্পিকারকে জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী জেলে থাকার সময়ের বেতনের টাকা পাবেন না মানিক ভট্টাচার্য।
এছাড়া বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের সঙ্গে। জেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বন্দি থাকার সময় মানিকবাবুর জন্য বাইরে থেকে কিছু ওষুধ আনতে হয়েছে। বিধানসভায় বিল পাঠালে সেই ওষুধের টাকা মিলবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিধায়করা তার অথবা স্ত্রীর চিকিৎসা সংক্রান্ত হাসপাতালের বিল বিধানসভায় জমা দেওয়ার সুযোগ পান। সেই টাকা বিধায়করা ফেরতও পান। অতীতে বহু বিধায়কের বেশ জটিল রোগের চিকিৎসার খরচও বহন করেছে বিধানসভা। এই বিলের ক্ষেত্রে কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। শুধুমাত্র চশমার ক্ষেত্রে খরচের উর্ধ্বসীমা ৫ হাজার টাকা।মঙ্গলবার প্রায় এক ঘণ্টার বেশি শুনানি হয়।

–

–

–

–

–

–

–

–
