‘অপরাজিতা বিল’-এ দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

সর্বসম্মতিতে গত বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ‘অপরাজিতা বিল’ পাশ হলেও, সেই বিলে অনুমোদন মেলেনি। দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupodi Murmu) সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের (TMC) ১১ জনের প্রতিনিধি। ধর্ষণ-খুনের মতো নৃশংস দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব হয়েছে ‘অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল ২০২৪’-এ। কিন্তু মেলেনি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন। ফলে বিল আইনে রূপান্তরিত হয়নি। ৬ মাস অপেক্ষার পর এদিন দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে আবেদন জানাল তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল।

ধর্ষণ-খুনের মতো নৃশংস ঘটনায় দোষীর সর্বোচ্চ সাজা চায় বাংলার সরকার। সেই কারণেই ২০২৪ সালে ৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় (West Bengal Assembly) সর্বসম্মতিতে পাশ হয় ‘অপরাজিতা বিল’। কিন্তু তার পরেও মেলেনি রাষ্ট্রপতির (Droupodi Murmu) অনুমোদন। দ্রুত বিলটি পাশ করার দাবিতে এদিন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Banerjee) নেতৃত্বে ৯ মহিলা সাংসদ-সহ ১১ জন সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দল দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন। দলে সুদীপ ছাড়াও ছিলেন দোলা সেন, সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, প্রতিমা মণ্ডল, মহুয়া মৈত্র, সুম্মিতা দেব, ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রমুখ।
আরও খবর: বিরোধীদের ‘ডিসেন্ট নোট’ সত্ত্বেও রাজ্যসভায় পেশ ‘ওয়াকফ বিল’ নিয়ে JPC- রিপোর্ট, প্রতিবাদ তৃণমূলের

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল জানান, ”রাজ‍্যপালের তরফে রাষ্ট্রপতির সম্মতির কথা বলে বিলটি আটকে রাখা হয়েছে। বিলটির বিষয়ে বিস্তারিত রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে। বিলটি যাতে তিনি দ্রুত কার্যকর করেন তৃণমূলের তরফে সেই দাবিও জানানো হয়েছে।”

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ”সর্বসম্মতির মাধ্যমে গত বছর রাজ্য বিধানসভায় অপরাজিতা বিল পাস হলেও, সেই বিলে অনুমোদন আসছে না। বিলম্ব হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, রাষ্ট্রপতির কাছে মহিলা সাংসদদের নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম। তাঁতে জানিয়েছি, নিশ্চিত ভাবে মৃত্যু অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, দোষী এবং ধর্ষকদের এই ধরনের শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে এই বিলের মাধ্যমে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে রাজ্য।” তৃণমূল প্রতিনিধি দলের মতে, ”রাষ্ট্রপতি ধৈর্যের সঙ্গে শুনেছেন আমাদের কথা। তিনি উদ্বিগ্ন বলেও মনে হয়েছে আমাদের। বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।”