প্রাথমিকে চাকরি দিতে সুপারিশ দিব্যেন্দু-ভারতীর! সিবিআই-এর চার্জশিটে ফাঁস

মামলায় পেশ করা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট (supplementary chargesheet) অপরাধীর তালিকায় নাম তুলল অভিজিতেরই পূর্বসূরি দিব্যেন্দু অধিকারির

শিক্ষায় নিয়োগ বেনিয়ম নিয়ে ক্রমাগত রাজনীতি অব্যাহত বিরোধীদের। যেখানে রাজ্যের সরকার বেনিয়ম নিয়ে তদন্তে সবরকম সহযোগিতার পথে হেঁটেছে, সেখানে তদন্তে উঠে এলো বিজেপি নেতাদের চাকরির জন্য সুপারিশের তথ্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর (CBI) চার্জশিটে (chargesheet) স্পষ্ট উল্লেখ কীভাবে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি (Dibyendu Adhikari) থেকে বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh) চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন। অভিযুক্তদের কাছে কীভাবে সুপারিশ (recommendation) করেছিলেন তাঁরা, তাও উল্লেখ করা হয়েছে সিবিআই-এর চার্জশিটে।

প্রাথমিকে নিয়োগ (primary recruitment) নিয়ে গলা ফাটিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির চেয়ারে বসে একের পর এক রাজ্যের বদনাম করার চেষ্টা করেছিলেন বর্তমান তমলুক সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। পরে অবশ্য বিচারপতির আসন ছেড়ে সোজা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই তাঁর মূল উদ্দেশ্য প্রকাশ্যে এসে গিয়েছিল। তবে এবার সিবিআই-এর এই মামলায় পেশ করা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট (supplementary chargesheet) অপরাধীর তালিকায় নাম তুলল অভিজিতেরই পূর্বসূরি দিব্যেন্দু অধিকারির।

ইতিমধ্যেই এই মামলায় বিকাশ ভবনে (Bikash Bhavan) তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই (CBI)। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চার্জশিট পেশ করে আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি মোট ৩২৪ জনের নামের সুপারিশ (recommendation) হয়েছিল। তার মধ্যে চাকরি পেয়েছেন ১৩৪ জন। দুর্ভাগ্য, এক সময় বিচারপতির আসনে বসে যে মামলা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তিনি বিচারপতির চেয়ারে বসে সেই চার্জশিট হাতে পেলেন না।

দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষায় নিয়োগে বেনিয়মের মামলায় বারবার নাম উঠে এসেছে দুই মেদিনীপুর থেকে। এবার সিবিআই-এর (CBI) তথ্যে উঠে এলো সুপারিশকারীদের নাম। খোদ তৎকালীন তমলুক সাংসদ তথা বিরোধী দলনেতার ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari) করেছিলেন ২০ জনের নাম। আবার তৎকালীন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার, যিনি বর্তমানে বিজেপি নেত্রী, সেই ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh) সুপারিশ করেছিলেন চার জনের নামে একটি তালিকা। সিবিআই তদন্ত চালিয়ে দেখবে নাম সুপারিশ (recommendation) হওয়া এই ব্যক্তিরা চাকরি প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন কি না।

রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে বারবারই অভিযুক্তদের তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। বিজেপি নেতাদের নাম উঠে আসায় তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, যদি কেউ খারাপ করে থাকে, সেক্ষেত্রে কারো সুপারিশ থেকে থাকে, সেটা তদন্ত হবে। যারা চার্জশিট দিয়েছে তারা এর ব্যাখ্যা দেবে। কেন, কোন প্রেক্ষিতে, কোন কারণে সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল, তা তদন্ত করা হবে। বিজেপি নেতাদের নাম রয়েছে। এবার বিজেপি ব্যাখ্যা দেবে এর।