ইটের বদলে পাটকেল! দিব্যেন্দুকে নিশানা করে বিজেপিতে প্রশ্নের মুখে জগন্নাথের স্ত্রীর বদলি

শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গিয়ে এবার বিজেপির অন্দরের কোন্দল। SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে নিজের দলের নেতাদের নাম করেই ফেসবুক পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) ভাই তথা BJP নেতা দিব্যেন্দু অধিকারীর নিশানায় রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannnath Chatterjee)। তিনি আবার আঙুল তুললেন বাম আমলে জগন্নাথের শিক্ষিকা স্ত্রীর একই জেলায় তিনবার বদলি নিয়ে!

এসএসসি-র নিয়োগ তদন্তে এবার সিবিআইয়ের তালিকায় নাম দিব্যেন্দু অধিকারী ও ভারতী ঘোষের। এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লেখেন, যাঁদের নাম জড়িয়েছে তাঁরা সবাই তৃণমূলের সম্পদ ছিলেন। বিজেপি-র অন্দরেই চর্চা, যে দিব্যেন্দুর নাম সুকৌশলে শুভেন্দু অধিকারীকেই টার্গেট করেছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। এর পরেই তাঁকে আইনি নোটিশ পাঠান দিব্যেন্দু অধিকারী। আর তার ২ ঘণ্টার মধ্যেই জগন্নাথের ফেসবুক থেকে আগে পোস্ট ডিলিট হয়ে যায়। তবে, বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়া গ্রুপে সেটি ঘুরছে।

একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েই সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হলেন জগন্নাথ। সেই কেন্দ্র থেকে ৭৩২০ ভোটে তৃণমূলের কাছে পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও কোন জাদুবলে একেবারে বিজেপির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক হলেন! এর পরেই নিশানা করা হয় জগন্নাথের স্ত্রী বলে পরিচিত দেবপ্রিয়া চট্টোপাধ্যায়ের বদলির বিষয়টিকে। অভিযোগ, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে ২০০৯ সালে সিপিএম নেতা লক্ষণ শেঠ এবং পূর্ব মেদিনীপুরের তৎকালীন জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির বদান্যতায় নাকি স্ত্রীকে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকার চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন জগন্নাথ। এখানেই শেষ নয়, একই জেলায় বার তিনেক বদলি এবং পরে কলকাতায় বদলি করানোর কাজেও জগন্নাথ তৎকালীন বাম নেতৃত্বের সাহাস্য নেন বলেও অভিযোগ।

একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের (Jagannnath Chatterjee) ফেসবুক হ্যান্ডেলেক যে স্ক্রিনশট ঘুরছে তা কি তাঁরই পোস্ট করা? যদি সেই পোস্ট বিজেপি নেতা করেই থাকেন, তাহলে সেটি ডিলিট করলেন কেন? দেবপ্রিয়া চট্টোপাধ্যায় কি সত্যিই জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী? সিপিএম নেতা লক্ষণ শেঠ এবং সিপিএমের তৎকালীন জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন এর বদান্যতায় নিজের স্ত্রীকে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন? যদি সেটা না হয়ে থাকেন, তাহলে বিজেপি গ্রুপে পোস্ট হওয়া এই সব তথ্যের বিরোধিতা কেন করছেন না তিনি? রাজনৈতিক মহলের মতে, অন্যের ‘কাচের জানলায়’ ঢিল ছুড়তে গিয়ে মুখ পুড়েছে ‘কাচের ঘরে’ থাকা জগন্নাথের।