মাল্টি-টাস্কিং সার্কাস রেলমন্ত্রীর! সংসদে অভিষেকের দাবিই প্রমাণিত হল দিল্লি দুর্ঘটনায়

বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে বাজেট (railway budget)। ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে ৬৭৮টি পরপর রেল দুর্ঘটনা (rail accident)

ফাইল ছবি

নিউ দিল্লি স্টেশনে কুম্ভ-যাত্রীদের পদপিষ্টের ঘটনা ফের একবার ভারতীয় রেলের (Indian Railway) কঙ্কালসার চেহারা সামনে এনে দিয়েছে। যাত্রী নিরাপত্তা নেই, পরিকাঠামোর অভাব, শিকেয় উঠেছে পরিষেবা। রেল হয়ে উঠেছে আতঙ্কের অপর নাম। লোকসভায় বাজেট (Union Budget) বক্ততায় সেই ভ্রান্তনীতি নিয়েই সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দিল্লির ঘটনা ফের একবার তা-ই প্রমাণ করে দিলো।

৭ ফেব্রুয়ারি সংসদে (Parliament) অভিষেক বলেছিলেন, ভারতীয় রেল লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য একটি লাইফলাইন। কিন্তু বিজেপির শাসনব্যবস্থায় সারা দেশে রেল একটি মাল্টিটাস্কিং সার্কাসে (multi-tasking circus) পরিণত হয়েছে। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে সাংসদের সেই কথাই সত্যি প্রমাণিত হল। যার সর্বশেষ প্রমাণ, নয়াদিল্লি (New Delhi) রেলস্টেশনের মর্মান্তিক ঘটনা। প্রয়াগরাজগামী ট্রেনে উঠতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে পাঁচজন নিষ্পাপ শিশুসহ ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন ওই ঘটনায়। তারপরও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই, কোনও হুঁশ ফেরেনি। এই ঘটনায় দায় এড়াতে পারেন কি রেলমন্ত্রী? তিনি এখনও চেয়ার আঁকড়ে বসে আছেন, প্রশ্ন রাজ্যের শাসকদলের।

সংসদে অভিষেক তথ্য তুলে ধরে কেন্দ্রের সরকারের অপদার্থতার কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, কেন্দ্রের সরকারের মাল্টিটাস্কিং সার্কাসের (multi-tasking circus) জন্য সর্বত্র অর্ধ-পাচিত পরিষেবা তুলে ধরছে। কেন এই কথা বলছি, কারণ এই সরকার আসার পর থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে বাজেট (railway budget)। ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে ৬৭৮টি পরপর রেল দুর্ঘটনা (rail accident) ঘটেছে যেখানে ৭৮৪ মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ২ হাজারের বেশি মানুষ।

বাংলার শাসকদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিউ দিল্লি রেল স্টেশনের পদপিষ্টের ঘটনা হাফ-মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবেরর (Ashwini Vaishnaw) অপরাধমূলক অবহেলার ফল। আসলে তিনি তাঁর এই চাকরিটিকে পিআর স্টান্ট হিসাবে বিবেচনা করে থাকেন। তাই তো বারবার অব্যবস্থাপনা এবং উদাসীনতার কারণে প্রাণহানি ঘটে। দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। এদিকে নিউ দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনার পর রেল নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি বাড়ালেও, সোমবারও দেখা যায় ট্রেনে ওঠার লাইনে বিশৃঙ্খলা। কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, আরপিএফের কোনও ব্যবস্থা নেই। রেল শুধু দুই সদস্যের কমিটি করেই ক্ষান্ত।