Sunday, August 24, 2025

অবশেষে জয়ে ফিরেছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। গতকাল ঘরের মাঠে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারায় ৩-১ গোলে। এই জয়ে খুশি লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো। ম্যাচ শেষের দলের প্রশংসায় মাতলেন তিনি। তবে বিপক্ষ দলের প্রশংসা করতে ভোলেননি লাল-হলুদ কোচ।

ম্যাচের পর অস্কার বলেন, “ মহামেডানের প্রশংসা করতেই হবে। ওরা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও ওরা আজ যথেষ্ট ভাল খেলেছে। লড়াই করে ম্যাচটা জেতার চেষ্টা করেছে ওরা। আমার তরফ থেকে মহমেডানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রইল।” এরপর নিজের দলের প্রশংসা করে অস্কার বলেন, “আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চই ম্যাচের ফয়সালা করে দিয়েছে। সউল বেঞ্চ থেকে নেমে গোল করল, ডেভিডও তাই। গত কয়েক সপ্তাহে এটাই ছিল না আমাদের। ৯০ মিনিট ধরে ধারাবাহিক ভাবে আমরা খেলতে পারিনি ঠিকই, কিন্তু তবে দল মহামেডানের বিরুদ্ধে ভাল খেলেছে। প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতে পেরেছি, শেপ বজায় রাখতে পেরেছি, কৌশলগত শৃঙ্খলাও ছিল আমাদের খেলায়। আমাদের ছেলেদের প্রশংসা করতেই হবে। দারুন খেলেছে ওরা।”

এদিকে সাদা-কালো ব্রিগেডকে হারিয়ে আইএসএলে এই প্রথম ডার্বি জিতল ইস্টবেঙ্গল। এই প্রসঙ্গে অস্কার বলেন, “ডার্বি বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। এটা শুধু দুটো দলের খেলা নয়, ক্লাবের ঐতিহ্য, সমর্থকদের আবেগ, ভালবাসাও এর সঙ্গে মিশে থাকে। তাই ম্যাচের পরে সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝা গেল, তারা দলের ছেলেদের পারফরম্যান্সে খুশি। এই দিনটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, গত সপ্তাহটা আমাদের খারাপ গিয়েছে।”

সেরা ছয়ে ওঠার আশা এখন ক্ষীণ ইস্টবেঙ্গলের। তবু লিগের শেষটুকু যে ভাল ভাবেই করতে চায় বলে জানান অস্কার। তিনি বলেন, “আইএসএলে আমরা লড়াই ছেড়ে দিইনি। লড়াই জারি থাকবে। যতটা ভাল ভাবে শেষ করা যায় আইএসএল, সেই চেষ্টা করব। পরবর্তী ম্যাচে যদি সেলিস ও জিকসনকে পেয়ে যাই, তাহলে আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠব। যদিও ওদের পেশীর চোট রয়েছে এবং ওদের জোর করে খেলিয়ে ঝুঁকি নিতে রাজি নই আমরা।“

আরও পড়ুন- আইএসএল-এ জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল, মিনি ডার্বিতে মহামেডানকে হারাল ৩-১ গোলে

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version