পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী, স্কুল সংস্কারে সাহায্যের আশ্বাস

প্রায় প্রত্যেক বছরই পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। মঙ্গলবার বিধানসভা যাওয়ার পথে ভবানীপুর এলাকার ইউনাইটেড মিশনারি গার্লস হাই স্কুলে যান মমতা। স্কুলের (School) ভিতরে তখন চলছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam)। বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন অনেক অভিভাবক। মুখ্যমন্ত্রীকে এত কাছে দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন তাঁরা। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এগিয়ে গিয়ে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান আসার খবরে বেরিয়ে আসেন স্কুলের প্রিন্সিপাল লীনা জর্জ। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন মমতা। স্কুল ভবনটি রং করার বিষয়ে সাহায্যের আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহারে আপ্লুত শিক্ষিকা থেকে অভিভাবকরা।

অভিভাবকদের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জিজ্ঞেস করেন, ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা কেমন হয়েছে? সব ভালো হয়েছে তো? পরীক্ষা কবে শেষ? কী কী পরীক্ষা বাকি রয়েছে? তাঁর কথায়, “আগে পড়ুয়ারা ৪০ নম্বরই পেত না। এখন উচ্চশিক্ষার জন্য ৮০-৯০ নম্বর দেওয়া হয়। CBSE-ICSE -র ছেলেমেয়েরা ভালো নম্বর পেয়ে যায়, আমাদের ছেলেমেয়েরা ভালো না পেলে ন্যাশনাল কম্পিটিশনে কীভাবে যাবে। পরীক্ষা ভালো হচ্ছে শুনে ভালো লাগল। আমি আপনাদের সঙ্গে দেখা করে গেলাম। আমার অনেক শুভেচ্ছা থাকল। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আশীর্বাদ করে জানালেন, ওরা ভালো থাকুক, ওরা বড় হোক।”

আশুতোষ মুখার্জি রোডে ইউনাইটেড মিশোনারি গার্লস হাই স্কুলে কতগুলি স্কুলের সিট পড়েছে তাও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানালেন তাঁর ভাইঝিও (অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এই স্কুলে পড়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন শুনে বেরিয়ে আসেন স্কুলের প্রিন্সিপল। স্কুলের শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, স্কুল ভবন রং করাতে চান কি না! বলেন, “যদি আপনারা রং করেন কী এস্টিমেট আছে আমাকে বলে দেবেন। ফর্ম ফিল আপ করুন।” কোথায় সেই ফর্ম জমা দেওয়া হবে তাও বলে দেন মুখ্যমন্ত্রী, সেটাও যদি না হয় তিনি বলে দেন পরীক্ষার পর স্কুল থেকে সেই ফিল আপ করা ফর্ম নিয়ে যাওয়া হবে।