রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ডিভোর্স মামলা এবার উঠেছে কলকাতা হাই কোর্টে। এর আগে সেই মামলা যখন আলিপুর আদালতে ছিল, কোর্ট রুমে তখন নানা ঘটনার খবর মিলত। তবে বুধবার হাই কোর্টে যেটা হল সেটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহুল মহল। কারণ, এদিনের মামলায় কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের হয়ে সওয়াল করেন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল থেকে দীর্ঘদিনই আলাদা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল ছাড়ার পরে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পরেই পদ্ম-কাঁটায় জেরবার হয়ে সেই দল ছাড়েন তাঁরা। এরপর বহুবার শোভন এর শোভনের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে একুশে জুলাই এর মঞ্চে তিনি শাসক দলে যোগ দেবেন এ খবর জড়িয়ে পড়েছিল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। যদিও তা বাস্তবে পরিণত হয়নি।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে শোভনের। ডিভোর্স দিতে নারাজ রত্না। বিচ্ছেদের দাবিতে অনড় শোভন। এতদিন সে মামলা ছিল আলিপুর আদালতে। একাধিকবার রত্নার বিরুদ্ধে শুনানিতে ইচ্ছাকৃতদের অভিযোগ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি নিম্ন আদালতের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের মামলা করেন রত্না। বুধবার বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। সেখানেই শোভনের পক্ষে মামলা লড়েন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ফের শুনানি।

রাজনৈতিক মহলের মতে, দলীয় বিধায়ক রত্না নন, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের মামলা লড়ার বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও পেশাদার আইনজীবী হিসেবে এর আগে পি চিদম্বরম, অভিষেক মনু সিংভি-সহ অনেক আইনজীবীকেই রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মামলা লড়তে দেখা গিয়েছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই ঘটনা শোভনের তৃণমূলের আরও কাছে আসার বার্তা দেয়। কারণ দলের অগোচরে কল্যাণ এ কাজ করেননি বলেই মনে করছে তারা।
আরও পড়ুন- বাঁকুড়ার বিহারীনাথ পাহাড়ের রির্সটে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে আত্মসমর্পণ ৪ অভিযুক্তর

_

_

_

_

_

_
