চিকিৎসকের অনুমতি পেলেই গ্রেফতারি দুই ভাইকে, ট্যাংরাকাণ্ডের জট ছাড়াতে তৎপরতা

হাসপাতালে দুই ভাই একটু সুস্থ হলেই তাঁদের জেরা করা হতে পারে। চিকিৎসকদের সবুজ সংকেত পেলেই ক্রাইম সিনে (crime scene) পাওয়া রক্তমাখা ছুরিতে থাকা আঙুলের ছাপ

খুন হয়েছেন ট্যাংরার ব্যবসায়ী পরিবারের দুই স্ত্রী ও কন্যা। ময়নাতদন্তের (postmortem) রিপোর্টে তা প্রকাশ্যে আসার পরই পুলিশের হাতে তার আরও প্রমাণ এলো। পুলিশি জেরায় সেকথা স্বীকার করেছেন আহত দুই ভাই, দাবি পুলিশের। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি প্রণয় ও প্রসূন দে। তবে চিকিৎসকের অনুমতি পেলেই তাঁদের গ্রেফতার (arrest) করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)।

ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবেই বাড়ির তিন মহিলা সদস্যকে খুন (murder) করে নৈশবিহারে বেরিয়েছিল দে পরিবারের তিন পুরুষ সদস্য, এমনটাও অনুমান পুলিশের। যদিও মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মারার সময় গাড়ির গতি ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা ছিল। এই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে পুলিশকে। ট্যাংরা-কাণ্ডে (Tangra) ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃত্যুর ধরন নিয়ে সংশয় কেটেছে। জানা গিয়েছে, গলা ও হাতের শিরা কাটায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেরই মৃত্যু হয়েছে সুদেষ্ণা ও রোমি দে’র। বিষের (poison) প্রভাবে মৃত্যু হয়েছে কিশোরী প্রিয়ম্বদার। তিনজনকেই খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত করছে পুলিশ। আর ‘খুন’ নিশ্চিত হওয়ার পরই প্রণয় ও প্রসূনকে গ্রেফতারির (arrest) প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

হাসপাতালে দুই ভাই একটু সুস্থ হলেই তাঁদের জেরা করা হতে পারে। চিকিৎসকদের সবুজ সংকেত পেলেই ক্রাইম সিনে (crime scene) পাওয়া রক্তমাখা ছুরিতে থাকা আঙুলের ছাপের সঙ্গে তাঁদের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে দেখবে পুলিশ। ততদিনে ট্যাংরার অটল শূর রোডে দে পরিবারের বিরাট বাড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করছে লালবাজার। তদন্তে দেখা গিয়েছে, ট্যাংরার (Tangra) বাড়িতে প্রায় সব সিসি ক্যামেরারই তার প্লাগ থেকে খোলা ছিল।

দীর্ঘদিনের পারিবারিক চামড়ার ব্যবসায় আর্থিক অসচ্ছলতা থাকলেও দে পরিবারের বিলাসবহুল জীবনযাপন নজর কেড়েছে তদন্তকারীদের। তদন্তে জানা গিয়েছে, বাজারে প্রায় ১৫-২০ কোটি টাকার ঋণ থাকলেও দে পরিবারের স্বচ্ছল জীবনে তার প্রভাব পড়েনি। বারবার বিদেশযাত্রা কিংবা মাসে-মাসে গাড়িবদলের টাকা কোত্থেকে আসছিল, সেটাই এখন প্রশ্ন। সেই ধোঁয়াশা কাটাতে শুক্রবারও হাসপাতালে দুইভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ট্যাংরা থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা।