দীর্ঘ ২৮ বছর পর আইসিসির কোনও ইভেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান।তাই স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রচন্ড কড়াকড়ি। কঠোর নিরাপত্তার জন্য বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা-বাহিনী সামাল দিতে হচ্ছে তাদের। এরমধ্যে ঘটেছে এক বিচিত্র ঘটনা।টানা কাজের চাপে অতিষ্ঠ হয়ে ১০০ জনেরও বেশি পাকিস্তানি পুলিশ তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকার করেছেন।বাধ্য হয়ে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মীরা পাঞ্জাবে বিভিন্ন শাখার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভ্রমণকারী বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো উচ্চ সতর্কতা জারি করার একদিন পর এই অভূতপূর্ব ঘটনাটি ঘটেছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, পুলিশ কর্মীরা অসংখ্যবার ডিউটিতে অনুপস্থিত ছিলেন বা আইসিসি টুর্নামেন্টের সময় তাদের দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে সরাসরি অস্বীকার করেছেন।পাঞ্জাব পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম এবং নির্ধারিত হোটেলের মধ্যে ভ্রমণকারী দলগুলোর নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশ কর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা হয় অনুপস্থিত ছিলেন বা তাদের দায়িত্ব নিতে সরাসরি অস্বীকার করেছিলেন।ওই আধিকারিক জানান, পাঞ্জাবের আইজিপি উসমান আনোয়ার বিষয়টি সামলে নিয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ইভেন্টের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অবহেলার কোনও সুযোগ নেই।’

বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মীরা কেন তাদের দেওয়া সরকারি দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকার করেছেন সে বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না থাকলেও, স্থানীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মীরা টানা কাজের কারণে অতিষ্ঠ বোধ করছিলেন। তাদের বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল না।১৯৯৬ সালের পর পাকিস্তানে প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও রাজনৈতিক বৈরিতায় দেশটিতে খেলতে যায়নি ভারত। ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজিত হচ্ছে দুবাইতে।

পাকিস্তান টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতিমধ্যে বিদায় নিয়েছে। সেদিক থেকে কিছুটা ভাটা পড়লেও বাকি দলগুলোকে নিয়ে টুর্নামেন্ট শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে চায় পাকিস্তান।
–

–

–

–

–

–

–
