Saturday, August 23, 2025

‘ভূতুড়ে’ ভোটারে দায় ঝাড়ার চেষ্টা কমিশনের! এলাকা ঘুরে খোঁজ শুরু তৃণমূলের

Date:

ভোটার তালিকায় (voter list) নাম তোলার কাজ করেন বিএলও থেকে সিইও-রা। রাজ্যে ভোটার তালিকায় প্রতি ছত্রে ছত্রে গরমিলের অভিযোগ চোখে আঙুল দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দেখিয়ে দেওয়ার পর কার্যত আধিকারিকদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে হাত ছাড়ার চেষ্টা নির্বাচন কমিশনের (Election Commission)। অথচ প্রতিটি তালিকায় এলাকার বাসিন্দাই নন, এমন ব্যক্তিদের নাম কীভাবে এলো, তা নিয়ে নিরুত্তর কমিশন। সেই কাজ অন্য রাজ্য থেকে ঢোকানোর কাজ কারা করেছেন, তা নিয়েও কোন জবাব দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে বৃহস্পতিবার দলের বুক স্তরের কর্মী পর্যন্ত সকলকে সচেতন করেন ভোটার তালিকা (voter list) নিয়ে। বিধানসভা নির্বাচনে ভোটার তালিকা সংশোধনই যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, তা স্পষ্ট করে দেন তিনি। কিভাবে কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন (Election Commission) এজেন্সির মাধ্যমে রাজ্যের মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলার কাজ করছে তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন তিনি। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) দায় ঝাড়ার কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কমিশনের (election commission) পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫০, ভোটারদের নিবন্ধন বিধি ১৯৬০ এবং ভোটার তালিকা সংক্রান্ত ম্যানুয়াল অনুসারে বিএলও, এইআরও, ইআরও এবং সিইও-রা, যে কোনো রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে, রাজনৈতিক দলগুলির দ্বারা নিযুক্ত বুথ স্তরের এজেন্টদের সক্রিয় অংশগ্রহনে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য কাজ করেন। কোনও নির্দিষ্ট দাবি বা আপত্তি (complaint) থাকলে পশ্চিমবঙ্গে ৮০,৬৩৩ জন বিএলও,৩,০৪৯ জন এইআরও,২৯৪ জন ইআরও-র মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সর্বপ্রথম জানাতে হবে।

বৃহস্পতিবার দলনেত্রীর নির্দেশের পরই জেলা থেকে শহর ভোটার তালিকা (voter list) ঘরে ঘরে গিয়ে যাচাইয়ের কাজ শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। সেখানে প্রতি জায়গা থেকেই এমন মানুষদের নাম উঠে আসে যারা কোনদিনও সেই এলাকার বাসিন্দাই ছিলেন না। ভবানীপুরে (Bhawanipur) বাড়ি বাড়ি ঘোড়ার সময় কাউন্সিলর (councilor) অসীম বসু দাবি করেন, মাত্র কয়েক ঘন্টায় অন্তত দুজনের নাম এমন পাওয়া যায় যারা এলাকায় কখনও থাকেননি। তাহলে কিভাবে তালিকায় সেইসব মানুষের নাম ঢুকে গেল তা নিয়ে কোন জবাব নেই নির্বাচন কমিশনের (election commission) সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে।

শনিবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) নিজে ভোটার তালিকা ধরে বাড়ি বাড়ি ‘ভূতুড়ে’ ভোটার (ghost voter) খোঁজার কাজ শুরু করেন। সচিত্র পরিচয়পত্র দেখে তালিকায় নিবন্ধ করার কাজ করেন তিনি। অন্যদিকে প্রতিটি জেলাও জেলাস্তরের কমিটি গঠন করে এলাকায় ঘুরে সঠিক ভোটার খুঁজে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিত করা শুরু হয় শুক্রবার থেকেই।

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version