সোমবার থেকে শুরু উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষা। সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১.১৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। পুরনো সিলেবাসে এটাই শেষবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যেমন একাধিক নতুন নিয়ম তৈরি করে পরীক্ষাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার পথে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, তেমনই পরীক্ষা কেন্দ্রে বেনিয়মেও এবার নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। তবে রাজ্য প্রশাসনের মাথাব্যথা প্রথম পরীক্ষার দিনে একাধিক রাজনৈতিক দলের তৈরি করা অস্থিরতা। যদিও কলকাতা পুলিশ সুপার (CP, Kolkata Police) ও এডিজি, আইন শৃঙ্খলার (ADG, Law and Order) পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের বাধা দিলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯ হাজার। তার মধ্যে ছাত্র ৪৫ হাজার ৫৭১। এবারে ছাত্রের সংখ্যা ছাত্রীর সংখ্যার থেকে বেশি। ২০৮৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের (examination centre) মধ্যে স্পর্শকাতর (sensitive) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৭৯৮ পরীক্ষা কেন্দ্রকে। এই কেন্দ্রগুলিতে পুরোপুরি সিসিটিভি নজরদারিতে পরীক্ষা হবে।

অন্যদিকে উত্তরের ডুয়ার্স ও পশ্চিমের জঙ্গলমহলের পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ে বিশেষ তৎপরতা বনদফতরের (forest department)। হাতির আনাগোনার এলাকায় নজরদারি চালাবেন বনদফতরের কর্মীরা। সঙ্গে থাকবে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারও। ঝাড়গ্রামে সম্প্রতি বাঘের উপদ্রব হওয়ায় সেখানে বাড়তি সর্তকতা বনদফতরের। যে কোনও সমস্যায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

পরীক্ষার প্রথম দিনের সকালে নতুন উপদ্রব এসএফআই-এর (SFI) ডাকা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মঘট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলির দায়িত্বশীল মনোভাবের আবেদন জানানো হয়েছে। তবে কোথাও কোনও পরীক্ষার্থী ধর্মঘটের কারণে বাধার মুখে পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন, জানিয়ে দিয়েছেন কলকাতার নগরপাল। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা এবং পরীক্ষা দিয়ে ফিরে যাওয়ার মধ্যে কোন সমস্যার মুখে পড়লে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবস্থা নেবে, আশ্বাস দেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা।

শুধু এসএফআই (SFI) নয়, কলকাতায় অশান্তি তৈরীর প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপিও (BJP)। দুপুরে তাদেরও যাদবপুর এলাকায় কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল মনোভাবের আবেদন জানানো হয়েছে পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে।

–

–

–

–

–

–
