শাক দিয়ে মাছ ঢাকা! নির্বাচন কমিশনের দোষ ঢাকতে তৎপর সুকান্তকে একহাত কুণালের

কোন কম্পিউটারে অন্য রাজ্যের ভোটার লিস্টটা (voter list) ফেলে দেওয়া হচ্ছে আমাদের রাজ্যে, সেটারই তদন্ত হওয়া দরকার। শাক দিয়ে এভাবে মাছ ঢাকা যায় না

কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন ভুল করেছে ভোটার তালিকা (voter list) তৈরিতে। সর্বসমক্ষে বিবৃতি দিয়ে তারা সেটা স্বীকারও করেছে। তারপরে কার্যত মুখে কুলুপ দিয়েছেন এরাজ্যের বিজেপি নেতারা। বেগতিক দেখে কমিশনের দোষ ঢাকতে রাজ্যের আধিকারিকদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। কমিশনের রবিবারের সাফাইকে হাতিয়ার করে পাল্টা জবাব তৃণমূলের। তদন্তে দাবি করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা বন্ধের দাবি রাজ্যের শাসকদলের।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকরা তালিকা তৈরিতে ভুল করেছেন। যেখানে নির্বাচন কমিশনের তরফে বিবৃতি জারির পরে সুকান্তর হাস্যকর দাবিতে কটাক্ষা তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। তাঁর পাল্টা জবাব, নির্বাচন কমিশনও এত বড় মিথ্যে কথা বলেনি। অনলাইন ভেরিফিকেশন (online verification) ছাড়া তালিকা হচ্ছে। ভেরিফিকেশন যদি না-ই হয় তাহলে পদাধিকারী বা আধিকারিকরা কিভাবে তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়। কমিশন বলছে অন্য রাজ্যের ভোটার লিস্ট এরাজ্যে ঢুকে যাচ্ছে। কোন কম্পিউটারে অন্য রাজ্যের ভোটার লিস্টটা (voter list) ফেলে দেওয়া হচ্ছে আমাদের রাজ্যে, সেটারই তদন্ত হওয়া দরকার। শাক দিয়ে এভাবে মাছ ঢাকা যায় না।

নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা নিয়ে দেওয়া সাফাই কতটা মিথ্যা, তৃণমূল নেতৃত্ব সেই তথ্য তুলে দেওয়ার পরে কার্যত ভোটার তালিকা দুর্নীতি নিয়ে দিশাহারা বিজেপি। সেখানে আবার সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলার চেষ্টা করেছেন, এই তালিকা অদল-বদলের মতো ঘটনা নজিরবিহীন। এই উক্তিতে তিনি নিজেই যে নিজের কথায় ফেঁসেছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কুণাল বলেন, নজির নেই বলেই তো বলা হচ্ছে নতুন মডেল তৈরি হচ্ছে। যেটা মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে হয়েছে, সেটা বাংলায় এসে ধরা পড়ে গিয়েছে। কীভাবে হচ্ছে? অন্য রাজ্যের ভোটার এরাজ্যের ভোটার লিস্টে (voter list)। এরাজ্যের ভোটারদের উপর ভরসা না রেখে অন্য রাজ্য থেকে জল মিশিয়ে কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে কোনও ফিজিকাল ভেরিফিকেশন (physical verification) ছাড়া অনলাইনে এই কারচুপি চলছে। নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগে মান্যতাও দিয়েছে, তারা বলেছে হ্যাঁ এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

সেই সঙ্গে পুরোনো কাসুন্দি ঘেঁটে সুকান্ত বলার চেষ্টা করেন, বাংলাদেশ থেকে ভোটার এনে ভরা হয়েছে ভোটার তালিকা। পাল্টা কুণাল ঘোষের জবাব, বাংলাদেশ থেকে কেউ ঢুকছে, এটা বিজেপির মুখ থেকে বেরোনোর আগে বিজেপি যেন মনে রাখে সীমান্ত পাহারা দেওয়া বাংলার পুলিশের কাজ নয়। সম্পূর্ণভাবে বিএসএফ (BSF) ও কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাজ। বাংলাদেশ নিয়ে কোন মন্তব্য করার আগে মনে রাখবেন, থুতু উপরে ছুঁড়লে নিজের মুখে এসে পড়ে।