অভিনব সাইবার সচেতনতার প্রচার রাজ্য পুলিশের, ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের ক্লিপ ব্যাবহার

কোনও ওটিপি মোবাইলে এলে তা যেন সবাই সাবধানে সংগ্রহ করে রাখেন

সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনব সাইবার সচেতনতার প্রচার রাজ্য পুলিশের।প্রচারের জন্য ভারত-অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল ম্যাচের ক্লিপ ব্যাবহার করা হয়েছে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়েছে সেই পোস্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য পুলিশের তরফে সচেতন করা হয়েছে ওটিপি সংক্রান্ত বিষয়ে। কোনও ওটিপি মোবাইলে এলে তা যেন সবাই সাবধানে সংগ্রহ করে রাখেন, সেই বার্তাই দিয়েছে রাজ্য পুলিশ।

কী আছে সেই পোস্টে? দেখা যাচ্ছে মার্নাস লাবুশেন একটি রান নেওয়ার সময় তার পথ আটকে ধরেছেন রবীন্দ্র জাডেজা। তিনি সিঙ্গলস নিতে চাইলেও তাকে নিতে দিচ্ছেন না জাডেজা। এখানে গ্রাফিক্সের সাহায্যে লাবুশেনকে প্রতীকী ওটিপি ও জাডেজাকে সাধারণ জনগণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ যেভাবে লাবুশেনকে যেতে দিচ্ছেন না জাডেজা। সেভাবেই ওটিপি মোবাইলে এল, তা হারিয়ে ফেলা যাবে না, এই সচেতনতাই দিতে চেয়েছে রাজ্য পুলিশ।

এর পরেই দেখা যাচ্ছে, উল্টোদিকের ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটার স্টিভ স্মিথ হতাশা প্রকাশ করছেন লাবুশেনের প্রতি। যেন বলছেন, ‘আরে, তুমি এলে না!’ আর এই স্টিভ স্মিথকেই স্ক্যামারের সঙ্গে তুলনা করেছে রাজ্য পুলিশ। বলছে, যাই হয়ে যাক, স্ক্যামারের হাতে ওটিপিকে যেতে দেওয়া যাবে না।এই ভিডিও দেখেই মজা পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। কেউ লিখেছেন, যিনি এই ভিডিও গুলো তৈরি করেন দয়া করে তিনি একদিন সামনে আসুন, অসাধারণ আপনার প্রতিভা! আবার কারও কথায়, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মিডিয়া ও সাইবার সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা অত্যন্ত ক্রিয়েটিভ মাইন্ডের।

মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া যখন ২৬৫ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল, ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা ভরসা করেছিলেন বিরাট কোহলির ব্যাটেই। তিনি ৯৮ বলে ৮৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পাল্টা চাপে ফেলে দেয় তার ব্যাট।

৪৭তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পাকে পরপর দু’বলে জোড়া ছক্কা মেরে যেন দলকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনেন হার্দিক। ম্যাচ জিততে শেষ ৩ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। ওভার প্রতি মাত্র ৪ রান করে চাই টিম ইন্ডিয়ার। ম্যাচ দেখতে যাওয়া আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহকেও দেখা গেল দর্শকাসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন। যেন স্বস্তি ফিরে পেল ভারতীয় শিবির।