Saturday, August 23, 2025

‘ভূতুড়ে’ ভোটার তাড়াতে তৎপর তৃণমূল (TMC)। পাসপোর্ট, আধার কার্ডের মতো ভোটার কার্ডেও ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকুক। বৃহস্পতিবার, রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দাবি জানাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির (Subrata Baksi) নেতৃত্বে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়প্রকাশ মজুমদাররা যান রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে। ভোটার লিস্ট থেকে ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া, তালিকায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেয় তৃণমূল।

ভূতুড়ে ভোটার তালিকা নিয়ে কড়া বার্তা দেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গোটা বিষয়টা বিজেপির ভোটে জেতার কৌশল বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী। এসবের মাঝেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিন অফিস থেকে বেরিয়ে ভোটার আইডি কার্ডে ইউনিক আইডি নম্বর রাখতে হবে বলে দাবি করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। দেখা যাচ্ছে, কারচুপি করে ভিন রাজ্যের ভুয়ো ভোটার এনে ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। এই নিয়েই সরব হয়েছে তৃণমূল। ভুয়ো ভোটার ধরতে পথে নেমেছে তারা। একাধিক জায়গায় পর্দাফাঁস হচ্ছে বিজেপি চক্রান্তের। খুলছে মিথ্যাচারের মুখোশ।

এদিন কমিশনের দফতর থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, বাংলার ভোটকে অনৈতিকভাবে প্রবাহিত করার জন্য বিজেপি যে চক্রান্ত করেছে, ভুয়ো ভোটার আনা, ভূতুড়ে ভোটার দেওয়া—একই এপিক কার্ডে বিভিন্ন রাজ্যের ভোটার নিয়ে যাচ্ছেন। যখন অনলাইনে কেউ অ্যাপ্লাই করবে তখন বিএলআরও এবং বিএলওর মাধ্যমে তাকে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন করতে হবে। আমরা বারবার বলছি পশ্চিমবঙ্গের কোনও মানুষ থাকলে সে ভোট দেবে, বাইরের রাজ্যের কোনও মানুষ থাকলে সে ভোট দেবে না। আমরা নির্দিষ্ট নামের তালিকা নিয়ে এসেছি। ওরা খালি রোহিঙ্গা, মুসলমান বলে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা না হলে তার ভোট দেওয়ার অধিকার নেই।

ফিরহাদের প্রশ্ন ইনকাম ট্যাক্স, পাসপোর্টে, আধার কার্ডে ইউনিক আইডি (ID) নম্বর থাকলে তাহলে ভোটার কার্ডে কেন থাকবে না? তাঁর হুঁশিয়ারি, আমাদের এই দাবি না মানলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে হবে।
আরও খবরভোটার তালিকার ‘ভূত ধরতে’ ডবল স্ক্রুটিনি, জেলায় জেলায় তৃণমূলের কোর কমিটি

অরূপ বিশ্বাস স্পষ্ট জানান, এটা বিজেপির একটা চক্রান্ত। যখন কোনওভাবেই মানুষের আশীর্বাদ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানো যাচ্ছে না, কোনও ভাবেই যখন তৃণমূলকে হারানো যাচ্ছে না তখন ভোটার লিস্টে এই কাজ করছে। কিন্তু বাংলার মানুষ সচেতন রয়েছে। আমাদের কাজ নির্বাচন কমিশনকে জানানো। মানুষ যাতে সঠিক জায়গায় ভোট প্রয়োগ করতে পারে সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য। আমার প্রশ্ন ইলেকশন কমিশন নীরব কেন এর পেছনে কি চক্রান্ত রয়েছে? নির্বাচন কমিশনকে জাগতে হবে এবং মানুষের ভোট দেওয়ার  অধিকারকে বজায় রাখতে হবে।

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version