আর জি কর নিয়ে মিথ্যের ঝুলি সাজানো বামেদের পর্দাফাঁস হয়ে যেতে আন্দোলন নিয়ে ফের ব্যাকফুটে বামেরা। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (Jadavpur University) মুক্তাঞ্চল বানানোর ইস্যুকে হাতিয়ার করে শূন্যের গেরো থেকে অক্সিজেন পাওয়ার চেষ্টায় বাম ছাত্র সংগঠন থেকে সিপিআইএম (CPIM)। সেই সঙ্গে এই আন্দোলনকে সামনে রেখে রাজ্যে মিথ্যাচারের রাজনীতি করা অভয়া মঞ্চও নতুন ফায়দা লোটার চেষ্টায় মত্ত। সোমবার বেলা ১টার মধ্যে বৈঠক না হলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। ফের অন্যের ইস্যু নিয়ে বামেদের অসভ্যতার রাজনীতি ফিরে আসাকে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের।

প্রথমে উপাচার্যকে বৈঠকে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যাদবপুরের অতিবাম-বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। সেই দাবি থেকে নেমে এসে সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে কর্তৃপক্ষকে বৈঠকে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। নাহলে প্রশাসনিক শাটডাউনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। সেখানে তৃণমূলের কটাক্ষ পরিকল্পিত আক্রমণে কিসের আন্দোলন। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, যে রাজনৈতিক সংগঠন সংসদীয় গণতন্ত্রে (parliamentary democracy) নির্বাচন বিশ্বাস করে না, তারা গিয়েছে কলেজ নির্বাচন (election) চাইছে। যে নকশালপন্থীরা বলে গণতন্ত্রে নির্বাচনে বিশ্বাস করি না, তারা গিয়েছে কলেজ নির্বাচনের (college election) দাবিতে, এটা পরিকল্পিত আক্রমণ। তার জন্য মিছিল! লজ্জা করছে না।

যাদবপুরকে ইস্যুকে যে আন্দোলন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে সিপিআইএম (CPIM), সেখানেও ‘শাখা’ সংগঠনের সাহায্য ছাড়া যে তারা অচল তাও প্রমাণিত। যাদবপুরের অতিবাম আন্দোলনকারী ছাত্ররাই জানাচ্ছে আর জি করের বাম মঞ্চ তাদের সমর্থন জানিয়েছে। সেখানেই শূন্যে ঝুলতে থাকা বামেদের কটাক্ষ করে কুণালের দাবি, বামেরা যা-ই করবে শেষ পর্যন্ত শূন্য। নিজেদের ইস্যু (issue) নেই। অন্য সংগঠনের ইন্দ্রানুজকে সামনে রেখে এগিয়ে আসার ডাক। দেউলিয়া না হলে বুদ্ধবাবুকে কুকুর বলা লোককে কমরেড তুমি এগিয়ে চলো – এই হচ্ছে সেলিমের সিপিএম।

লাগাতার এইভাবেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (Jadavpur University) অশান্ত করার চেষ্টাকে যে আদালতও সমর্থন করে না, তা শুক্রবার স্পষ্ট হয়ে যায়। যাদবপুর ইস্যুতে ফায়দা লুটতে মাঠে নামা বিরোধী দলনেতার মিছিলে নিষেধাজ্ঞা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। অন্যত্র করার সাফ বার্তা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। এই বার্তা যে বামেদেরও দেওয়া তাও কার্যত স্পষ্ট। আদালত এদিন কোনও রাজনৈতিক দল যাতে সেখানে মিটিং মিছিল না করতে পারে তার জন্য পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়।
আদালতের নির্দেশকে পূর্ণ সমর্থন রাজ্যের শাসকদলের। কুণাল ঘোষ বলেন, এলাকায় সাধারণ মানুষ বিপুলভাবে হয়রান হচ্ছেন। আট থেকে দশ জন লোক। তাদের দুচারজন বাবা-কাকাকে ডেকে বারো থেকে পনেরো লোক মিলে মোড়ে বসে হাত-পা তুলছে। তার জন্য অফিস যাত্রীরা বারবার হয়রান হচ্ছেন। আদালতের এমনভাবে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত যাতে স্থানীয়রা হয়রান না হন।

–

–

–

–

–

–
