তিন মাসেই ‘ডুপ্লিকেট’ এপিক সমস্যার সমাধান কীভাবে, নির্বাচন কমিশনে জানতে চাইবে তৃণমূল

১০ জন সাংসদ মঙ্গলবার দেখা করবেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে

শেষে হার স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অভিযোগের তির দেগেছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দিকে, তা মেনে নিয়ে ভোটার তালিকায় কারচুপির সকল সমস্যার সমাধান তিন মাসের মধ্যে করার আশ্বাস দিয়েছে তারা। কিন্তু কীভাবে সেই কাজ করবে নির্বাচন কমিশন, তা জানতে চায় তৃণমূল। সবকিছু জেনেও এতদিন চুপ থাকার কারণ কী? কার বা কাদের অঙ্গুলিহেলনে এহেন সিদ্ধান্ত? এসব জানতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে দরবার করবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ডেরেক ও’ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১০ জনের প্রতিনিধি দল কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবে। কমিশন পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেও ‘ভূতুড়ে’ ভোটার নিয়ে চাপ বাড়াতে চাইছে তৃণমূল। ভোটার তালিকা থেকে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর আগামী ৩ মাসের মধ্যে কীভাবে সরানো হবে তা জানতে ১০ জন সাংসদ মঙ্গলবার দেখা করবেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে।

মঙ্গলবার ১১ মার্চ বিকেলে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে দরবার করতে চলা তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ সদস্যের  সংসদীয় প্রতিনিধি দলে থাকবেন লোকসভার ৬ সদস্য, রাজ্যসভার ৪ জন সদস্য। তাঁরা প্রশ্ন তুলতে চলেছেন,

নির্বাচন কমিশন কেন জানাতে পারছে না যে দেশে কতগুলি ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড ইস্যু হয়েছে?  কেন ধরা পড়ার পরও তারা সমস্ত বিষয়টি এখনও অন্ধকারে রেখেছে, তাও জানতে চায় তৃণমূল। রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, তিন মাসের মধ্যে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড সংক্রান্ত  ত্রুটি কী করে  মেটানো হবে, যখন জানাই নেই যে মোট কত ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড ইস্যু হয়েছে। আগে তার জবাব দিক নির্বাচন কমিশন।