দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য: বেলঘরিয়ার INTTUC নেতার উপর গুলিতে ত্রিকোণ প্রেম!

সম্পর্কের জেরে শনিবার রাতের শুটআউট (Shootout) হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। বিকাশের ভাইয়ের দাবি, শনিবার শুটআউটের আগে মদ্যপান করে ইন্দাল

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে নিয়ন্ত্রণ আনা কার্যত অসাধ্য় হয়ে উঠছে। যে কোনও বিবাদে গুলি চলা নিত্য দিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেলঘরিয়ার আইএনটিটিইউসি (INTTUC) নেতা বিকাশ সিংয়ের গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ফের সেই দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের অভিযোগ উঠল। দুই যুবকের একই মহিলার সঙ্গে প্রেমের (triangular love) জেরে হামলার ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। আহত তৃণমূল নেতা বিকাশের পরিবারেরও দাবি, স্থানীয় এক যুবকই সম্পর্কের টানাপোড়েনে গুলি (shootout) চালিয়ে খুন করার চেষ্টা করে বিকাশকে।

শনিবার রাতে বেলঘরিয়ার (Belgharia) কামারহাটি পুরসভা এলাকার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে চার নম্বর গেটের বাইরে একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিকাশ সিং। সেই সময় অজ্ঞাত পরিচয় কিছু যুবক বাইকে করে এসে গুলি চালায় তার উপর। আহত হন সাগর দত্ত মেডিক্যালে চিকিৎসা করাতে আসা সন্তু দাস নামে এক যুবকও। এরপরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তদন্ত শুরু করে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আততায়ীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়। পুলিশের দাবি ইতিমধ্যেই গুলি চালানোয় আভিযুক্তরা চিহ্নিত।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নাম জড়িয়েছে আরেক যুবক ইন্দাল যাদবের। তদন্তাকারীদের দাবী, এক মহিলার সঙ্গে বিকাশ ও ইন্দাল উভয়েরই সম্পর্ক (triangular love) ছিল। সেই মহিলা সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিকাশ ইন্দালকে সম্পর্ক থেকে সরে আসার দাবিতে তাকে মারধর করে কিছুদিন আগে। সম্প্রতি বিকাশেরই নির্দেশে সেই মহিলাকে বিহারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই সম্পর্কের জেরে শনিবার রাতের শুটআউট (Shootout) হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। বিকাশের ভাইয়ের দাবি, শনিবার শুটআউটের আগে মদ্যপান করে ইন্দাল। সিসিটিভি ফুটেজে গুলি চালানোর পরে বিকাশের বুকে পা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত থেকে বাড়ি ফেরেনি ইন্দাল। তবে কোথায় গিয়েছে বাড়িতেও বলে যায়নি। পুলিশ ব্যবহার করা বাইক উদ্ধার করে। তবে বাইক ফেলে চারচাকা গাড়িতে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতিরা, দাবি পুলিশের। এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপাদাপিতে আতঙ্কিত স্থানীয় কাউন্সিলরের। তিনিও দাবি করেন, এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তিনি নিজেও হুমকির মুখে পড়েছেন। এই বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর দাবিও করেন তিনি।