বেসরকারি স্কুলে বেতন বৃদ্ধি রুখতে আইন আনছে রাজ্য, আসছে বিল: শিক্ষামন্ত্রী

বিভিন্ন সময় বেসরকারি স্কুলগুলো ফি বৃদ্ধি করে থাকে। যার প্রতিবাদে বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক-অভিভাবিকারা। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার বা রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা বিভিন্ন সময় কার্যকরী করা হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। বেসরকারি স্কুলে লাগামহীন বেতন বৃদ্ধি রুখতে এবার আইন চালু করবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বিধানসভায় জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

বেসরকারি স্কুলের ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে প্রশ্ন করেন বাঁকুড়া জেলার ছাতনার বিজেপি বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। সেই প্রশ্নের জবাবে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিতে বেতন বৃদ্ধি, তা নিয়ে অভিভাবকদের উপর চাপ, বিদ্যালয়ের কাচ ভেঙে পড়ার মতো অভিযোগ মেনে নেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, এমন বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ সরকারের কাছে এসেছে। এগুলি বন্ধ করতে একটি কমিশন গঠন করার পথে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। বেসরকারি স্কুলের বেতন বৃদ্ধি রুখতে সরকার বিধানসভায় একটি বিল আনতে চলেছে বলেও জানান ব্রাত্য।

বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবার কমিশন গঠন করল রাজ্য। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে হবে এই কমিশন। যখন তখন স্কুলের বেতন বাড়ানো, একাধিক অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া- পুরোটাই আসবে এই কমিশনের আওতায়।শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কমিশনে মোট ১১ জন সদস্য থাকবেন। এই কমিশনের প্রধান হবেন এক জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। কমিশনের বাকি সদস্যদের মধ্যে থাকবেন স্কুল শিক্ষা কমিশনার, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চশিক্ষা সংসদের সভাপতি, শিক্ষামন্ত্রী মনোনীত দু’জন শিক্ষাবিদ। এ ছাড়া সিবিএসই এবং আইসিএসই বোর্ডের প্রতিনিধিরাও থাকবেন বেসরকারি স্কুলে বেতন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের এই কমিশনে।

বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের বেতন সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন কমিশনের সদস্যরা। তারপর তা সমাধানের দায়িত্ব থাকবে এই কমিশনের উপর। এই কমিশন গঠনের মূল উদ্দেশ্য হল বেসরকারি স্কুলগুলির অতিরিক্ত বেতন নেওয়া আটকানো এবং বেতন সংক্রান্ত অন্য অভিযোগগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করা।শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, পরবর্তী সময়ে বেসরকারি স্কুলগুলিতে বেতন বৃদ্ধির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য একটি কড়া আইনও চালু করা হবে। সেজন্য রাজ্য বিধানসভায় একটি বিল পেশ করবে সরকার।