এএফসি টুর্নামেন্টেও স্বপ্ন শেষ ইস্টবেঙ্গলের

দশ জনের ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে কাজ আরও কঠিন হয়

এএফসির টুর্নামেন্টেও রেফারিং হতাশাজনক। যার খেসারত দিতে হল লাল-হলুদকে।শুরুতেই এক গোলে এগিয়ে যাওয়াতেও স্বস্তি ছিল না। বরং ৩৩ মিনিটে প্রবল চাপে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। রেড কার্ড দেখেন লালনুনচুঙ্গা। দশ জনের ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে কাজ আরও কঠিন হয়। সেমিফাইনালে যেতে অন্তত ২-০ জয় প্রয়োজন ছিল। দশ জনে পরিণত হওয়ায় চাপ বাড়ে। নিজেদের ঘর বাঁচানোই প্রাথমিক লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। আর্কাদাগকে তাদের ঘরের মাঠে শুরুতে গোল দিলেও, তা ধরে রাখতে পারেনি অস্কারের দল। হারতে গোল ২-১ গোলে। ফলে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাবে আর্কাদাগের বিরুদ্ধে হার ডিমানটাকোসদের বিরাট চাপে ফেলে দিয়েছিল।

প্রথম মিনিটেই মেসি বাউলির গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ডিমানটাকোস ডানদিক থেকে শট করেন গোলে তা বাঁচান চায়েভ রসুল। তবে তার হাতে লাগা বল এসে পড়ে মেসির পায়ে। গোল করতে ভুল করেননি। ১৭ মিনিটে তিন ফুটবলারকে ড্রিবল করে অসাধারণ শট মারেন ডিমানটাকোস। তবে তা বারে লেগে ফেরে। ম্যাচ দেখে মনে হচ্ছিল গ্রীক স্ট্রাইকার মরসুমের শেষে ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন। সেই সময়ই ছন্দপতন। ৩৪ মিনিটে লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যেতে হয় লালচুংনুঙ্গাকে। বক্সের খুব কাছ থেকে ফ্রিকিক পায় আর্কাদাগ। তবে সেখান থেকে গোল আসেনি।

প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি কোনও দলই। ইস্টবেঙ্গল ১০ জনের হয়ে না গেলে সমস্যা বাড়তে পারত ঘরের দলের। কারণ এরপরেও দুটো সুযোগ ছিল মেসির সামনে। দুই ক্ষেত্রেই আটকে দেন চায়েভ রসুল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে রক্ষণ জমাট করে আর্কাদগকে আটকে রাখার স্ট্র‍্যাটেজি নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ১০ জনের বিরুদ্ধে খেললেও ঘরের মাঠে ফায়দা তুলতে পারেনি তুর্কমেনিস্তানের দল। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে ৮৭ মিনিটে এসে সৌভিক চক্রবর্তীর ফাউলে পড়ে যান তির্কিশভ। পেনাল্টি থেকে গোল করলেন আন্নাদুরদিয়েভ। গোল হজম করে কাঁধ ঝুলে যায় গোটা লাল-হলুদ ব্রিগেডের। ভেঙে পড়া ইস্টবেঙ্গলের যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে ৯৬ মিনিটে গোল করেন হাইড্রো। শেষ পর্যন্ত ২-১ ফলে ম্যাচ হারলেন জিকসন সিংরা। সবমিলিয়ে ৩-১ হেরে এফসি স্বপ্ন ভাঙল ইস্টবেঙ্গলের।