দোলের দিন জনসংযোগে মাতল তৃণমূল নেতৃত্ব

আজকে দোল পূর্ণিমায় মেতেছেন আম আদমি

বিধানসভা নির্বাচনের এখনও দেরি আছে। তবে দোলের সময় জনসংযোগে মাতল তৃণমূল। উত্তর কলকাতার রামমোহন সম্মিলনীতে এবছরেও ধুমধাম করে পালিত হল বসন্ত উৎসব। ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ডান্ডিয়া নাচ আর গানের তালে মাতলেন আট থেকে আশি সবাই। কুণাল বলেন, প্রত্যেক বছরের মত এ বছরও আমরা সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে সবাই মিলে দোল উৎসব পালন করছি। এই বাংলায় কোনও ধর্মীয় বিভেদ নয়। সবাই যার যার উৎসবে মাতেন। একদিকে যখন পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালন হচ্ছে , তেমনি আজকে দোল পূর্ণিমায় মেতেছেন আম আদমি।

দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে ধুমধাম করে পালন করা হলো দোল উৎসব। প্রভায ফেরিতে হাজির ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, বিজেপি ধর্মীয় বিভেদ প্রচার করে উৎসবকেও রাজনীতির রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলার মানুষ জানে সেটা এখানে কখনও হবে না। এখানে নানান ধর্মের মানুষ তাদের নিজস্ব ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করেন। আজকের দোল উৎসব তারই একটা অঙ্গ।

গরিয়াহাটের হিন্দুস্তান পার্কে দোল উৎসবে মাতলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । নাচে গানে এখানকার দোল উৎসব ছিল জমজমাট। মন্ত্রী বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আর সেই কথা মাথায় রেখেই, আজকে দোলের আনন্দে রঙিন মন নিয়ে সবাই আনন্দে মেতেছে। একমাত্র এরাজ্যে নির্বিঘ্নে সবাই যে যার নিজের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারেন। বস্তুত বলা যেতে পারে, দোল উৎসবকে সামনে রেখে এদের জনসংযোগে মেতে উঠলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

বসন্ত উৎসবের পাশাপাশি হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজনও করা হয়েছে। আর তাতে সাত সকালে মেতে উঠলেন পার্থ ভৌমিক। রীতিমতো সবার সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে উৎসবের দিনে খোল বাজাতে বাজাতে রাস্তায় জনসংযোগে মাততে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদকে।