বছরে চারবার ভোটার তালিকা বের হয়। সেই সঙ্গে কতদিন পর্যন্ত সেই তালিকায় নাম সংযোজন সম্ভব তা ব্যাখ্যা করে রাজ্যের তৃণমূল স্তরের দলীয় কর্মীদের তালিকা সংশোধনের কাজ করার বার্তা দিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ও দিল্লির (Delhi) উদাহরণ তুলে ধরে সতর্ক করার পাশাপাশি কীভাবে সেখানে কারচুপি, সেটাও ব্যাখ্যা করলেন তিনি দলের তৃণমূল স্তরের চার হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বৈঠকে শনিবার।

ভোটার তালিকা (voter list) সংশোধনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বারবার তালিকা সংশোধনের কাজ করার বার্তা দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) কারচুপি ধরে ফেলার পরে মহারাষ্ট্র ও দিল্লি নির্বাচনে কীভাবে কারচুপি করে জিতেছে বিজেপি, তা বলেছিলেন নেত্রী। এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাখ্যা করলেন, লোকসভার সাত মাস পরে দিল্লিতে (Delhi) বিধানসভা ভোট হয়েছে। ৪ লক্ষ ১২ হাজার নতুন ভোটার যোগ করেছে। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) চার মাসের ব্যবধানে ৩৯ লক্ষ নয়া ভোটার যোগ করেছে। খুব ঠান্ডা মাথায় এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরই ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ৭৮টি এমন বিধানসভা আছে মহারাষ্ট্রে যেখানে ১৮ লক্ষ নতুন ভোটার যোগ হয়েছে। যার মধ্যে ৬৮টি বিধানসভায় বিজেপি জিতেছে। এটা কাকতালীয় হতে পারে না।


সেই সঙ্গে দিল্লি (Delhi) নিয়ে স্পষ্ট তথ্য তুলে ধরেন অভিষেক। তিনি জানান, অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) চার হাজার ভোটে হেরেছেন। ওনার বিধানসভায় ৩৫ হাজার ভোটারের নাম বাদ গিয়েছিল। এটা ওরা ভোটের পরে ধরতে পেরেছে। তার আগে কারচুপি করে ফেলেছে।

সেখানেই দলীয় কর্মীদের সতর্ক করে অভিষেক বলেন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ভোটার তালিকা (voter list) সংশোধন এই কাজটা দুমাস তিনমাস ছমাসের বা দুসপ্তাহ চার সপ্তাহের কাজ নয়, সারা বছরের কাজ। বছরে চারবার ভোটার লিস্ট বেরোয় – ১ এপ্রিল, ১ জুন, ১ সেপ্টেম্বর, ১ ডিসেম্বর। কিন্তু ভোটার তালিকায় নাম তোলার নিয়মে পরিবর্তন এসেছে। এখন ভোটার তালিকায় নাম তোলা যায় কোনও নির্বাচনে মনোনয়ন জমা (nomination file) দেওয়ার শেষ দিনের দশদিন আগে পর্যন্ত।


নির্বাচন কমিশন (Election Commission) যে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এভাবে ভোটার তালিকা (voter list) তৈরির কাজ করেছে, তৃণমূল তা ধরে ফেলাতেই এত রাগ কমিশনের, কটাক্ষ অভিষেকের (Abhishek Banerjee)। কিন্তু রাজ্যে তৃণমূল কর্মীদের এই কারণেই আরও সতর্ক হয়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করতে বলেছেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানেও মহারাষ্ট্র, দিল্লির প্রসঙ্গ টেনে তাঁর ব্যাখ্যা, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে এই দুই রাজ্যের বিরোধীরা যখন ভোটার তালিকা নিয়ে আর চিন্তার কারণ নেই মনে করেছিলেন, তখনই নাম সংযোজন ও বিয়োগের কারচুপি সেরে দুই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছেন বিজেপি।

–

–

–

–

–

–
