নির্মাণ শ্রমিক ও পরিবারের হস্টেল: প্রস্তুতি রাজ্যের পাঁচ শহরে

জলপাইগুড়িতে শ্রম বিভাগের কাছে জমি হস্তান্তরের কাজও শেষ হয়েছে। শিলিগুড়িতে (Siliguri) এই ধরনের একটি হস্টেল (hostel) নির্মাণের কাজ শুরু

রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকদের (unorganised sector) জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একের পর পদক্ষেপ নিয়েছেন তা স্বীকৃতি পেয়েছে কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে। তবে সেখানেই থেমে নেই বাংলার সরকার তা বাজেট পেশের সময়ই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক (Malay Ghatak)। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই এক জেলায় নির্মাণ শ্রমিক (construction worker) ও তাঁদের পরিবারের জন্য হস্টেল (hostel) নির্মাণ শুরু হয়ে গিয়েছে। আরও চার জেলা শহরে জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া প্রায় করে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার পথে রাজ্য।

রাজ্যের প্রতিটি জেলায় নির্মাণ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। হস্টেল (hostel) তথা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (training centre) তৈরির জন্য সব জেলাকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে এই ধরনের ২৫ টি কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে হলদিয়া,  সিউড়ি, পুরুলিয়া এবং উলুবেড়িয়াতে জমি চিহ্নিত করার কাজও শেষ হয়েছে। হস্টেল তৈরি করার জন্য জলপাইগুড়িতে শ্রম বিভাগের কাছে জমি হস্তান্তরের কাজও শেষ হয়েছে। শিলিগুড়িতে (Siliguri) এই ধরনের একটি হস্টেল (hostel) নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে বলে শ্রম দফতর সূত্রে জানা গেছে।

মঙ্গলবার শ্রমমন্ত্রী বিধানসভায় (Assembly) ১২৩৯.২২১৮ কোটি টাকার শ্রম বাজেট পেশ করেন। মলয় জানান, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে শ্রমিকদের মজুরি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তৃণমূল সরকারের আমলে শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম সাড়ে ৫০০ শতাংশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে ২৮ হাজার শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।