২২ মার্চ থেকে শুরু হবে আইপিএল। ২৩ মার্চ প্রথম ম্যাচে নামবে রাজস্থান রয়্যালস। প্রথম ম্যাচে তাদের সামনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রাজস্থানে দলের কোচ হয়ে এসেছেন রাহুল দ্রাবিড়। আর দ্রাবিড় যোগ দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত দলের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। জানান , দ্রাবিড়কে দেখেই নেতৃত্ব দিতে শিখেছেন তিনি। সঞ্জুর কথায় যে ভাবে দ্রাবিড় নেতৃত্ব দিতেন তা এখনও মুগ্ধ করে তাঁকে।

এই নিয়ে রাজস্থান অধিয়ানয়ক সঞ্জু স্যামসন বলেন,” অধিনায়ক হিসাবে দ্রাবিড় স্যারকে চোখের সামনে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। মাঠ এবং মাঠের বাইরে, দু’জায়গাতেই ওঁনার দক্ষতা প্রশ্নাতীত। অধিনায়ক থাকাকালীন কোনও দিন ঐচ্ছিক অনুশীলন কামাই করেননি। সাজঘরে যেভাবে তরুণদের সঙ্গে কথা বলতেন, যেভাবে সিনিয়রদের বোঝাতেন এবং টিম মিটিং আয়োজন করতেন, যেভাবে নতুন ক্রিকেটারদের বুকে টেনে নিতেন সবই মুগ্ধ করার মতো। এই ছোট ছোট জিনিসগুলোই আমি নিজে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় খেয়াল রেখেছি। একই জিনিস অনুসরণ করার চেষ্টা করি।“

এখানেই না থেমে সঞ্জু আরও বলেন, “ এখন আমি অধিনায়ক, রাহুল স্যার এত বছর পর রাজস্থানে ফিরেছেন। এই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। ওঁর অধীনে রাজস্থান এবং ভারতীয় দলে খেলেছি। কিন্তু অধিনায়ক হিসাবে ওঁর মতো কোচকে পাশে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আগামী বছরগুলোয় ওঁর থেকে অনেক কিছু শেখার অপেক্ষায় রয়েছি।“

এদিকে আইপিএল শুরু হতে আর কয়েক দিন বাকি। কিন্তু এখনও দলের সঙ্গে যোগ দেননি রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। অন্যদিকে ভাঙা পা নিয়েও রাজস্থানে যোগ দিয়েছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। পায়ের চোট পুরোপুরি না সারলেও দলের প্রস্তুতির কথা ভেবে গত বুধবার জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিয়েছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর পায়ে এখনও বিশেষ ধরনের ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে। ক্রাচ ব্যবহার করতে হচ্ছে হাঁটার সময়। অথচ দলের অধিনায়ক সঞ্জু এখনও শিবিরে যোগ দেননি। আর সূত্রের খবর, সে কারণেই আইপিএলের শুরুতে তাঁর খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
এই নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সূত্রে খবর, ব্যাট করতে সমস্যা হচ্ছে না সঞ্জুর। কিন্তু উইকেটরক্ষা করার মতো ফিট এখনও হতে পারেননি। ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি। সঞ্জু কবে মাঠে ফিরতে পারবেন, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, আইপিএলের প্রথম সপ্তাহের পর খেলতে পারবেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক।

আরও পড়ুন- ঘোষিত আইএসএল-এর প্লে-অফের সূচি, ফাইনাল ১২ এপ্রিল

–

–

–

–

–

–
–