মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফলে রাজ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা নগণ্য। কেন্দ্রের সাম্প্রতিক রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে, বাংলা তুলনায় ১৬ গুণ ড্রপ আউট (dropout) রয়েছে যোগী-রাজ্য উত্তর প্রদেশে। কেন্দ্রের দ্বিতীয় মোদি জমানায় সারা দেশে এক কোটিরও বেশি সংখ্যক পড়ুয়া স্কুলছুট (school dropout) হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রকের (Ministry of Education) এই পরিসংখ্যানে উদ্বেগ গোটা দেশজুড়ে।

কেন্দ্রের শিক্ষামন্ত্রকের রিপোর্টই বলছে, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে সারা দেশে স্কুলে নাম লিখিয়েছিল ২৬ কোটি ২ লক্ষ ৯৪ হাজার ২১৬ জন পড়ুয়া। কিন্তু ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ওই সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ কোটি ৮০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮২৮। অর্থাৎ পাঁচ বছরের স্কুলে ‘এনরোলমেন্ট’ (enrolment) কমেছে ১ কোটি ২২ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩৮৮টি। এখানেই শেষ নয়। বিগত এক বছরেও এই স্কুল ড্রপ আউটের (school dropout) সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এক বছরে স্কুলছুট হয়েছে ৩৭ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়া। কারণ ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে সারা দেশে স্কুলে ‘এনরোলমেন্ট’ হয়েছে ২৫ কোটি ১৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৭২২। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ‘এনরোলমেন্ট’ কম হয়েছে ৩৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৯৪টি।

সম্প্রতি সংসদে কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী (Jayant Chaudhary) উল্লিখিত পরিসংখ্যান পেশ করেছেন। এখানেই প্রশ্ন, কেন্দ্রের মোদি সরকার আদৌ কি ছেলেমেয়েদের স্কুলমুখী করার জন্য কোনও পদক্ষেপ করছে? বাংলা সরকার যেখানে কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প চালু করে সুফল পেয়েছে, সেখানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তেমন কোনো উদ্যোগই নেয়নি। সংসদে রাজ্যওয়াড়ি খতিয়ানও পেশ করেছে শিক্ষামন্ত্রক (Ministry of Education)। সেখানে দেখা যাচ্ছে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির হাল খুবই খারাপ। পাঁচ বছরে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে ‘এনরোলমেন্ট’ (enrolment) কমেছে ২৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৬৪টি। ‘ডাবল ইঞ্জিন’ মহারাষ্ট্রে কমেছে ১৮ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭২৩। মোদি-রাজ্য গুজরাতে পাঁচ বছরে স্কুলে ‘এনরোলমেন্ট’ কমেছে আড়াই লক্ষেরও বেশি। হরিয়ানায় তা কমেছে প্রায় তিন লক্ষ। মধ্যপ্রদেশে কমেছে ৯ লক্ষ ২৩ হাজার ২৩৫টি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে স্কুলে ‘এনরোলমেন্ট’ কমেছে মাত্র ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৪২৫টি। আর তা সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক উদ্যোগ এবং কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পের সৌজন্যে।

–
–

–

–

–

–

–

–
