পৃথিবীতে পৌঁছে সমস্যা পিছু ছাড়বে না! সুনিতাদের থাকতে হবে রিহ্যাবে

ভরশূন্য থাকার ফলে সবার আগে যে সমস্যার সম্মুখীন হবেন সুনিতা (Sunita Williams) ও বুচ (Buch Wilmore) তা হলো বেবিফিট (baby feet)

বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। নয় মাসের অপেক্ষার পরে পৃথিবীতে পা দিয়েও সমস্যা পিছু ছাড়বে না তাঁদের, আশঙ্কা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। একটা দীর্ঘ সময় ভরশূন্য (weightlessness) অবস্থায় কাটানোর ফলে তাঁদের শরীরে একাধিক পরিবর্তন আসবে, যা পৃথিবীতে চলাচলে বাধা দেবে, এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকরা। সে ক্ষেত্রে ফের পৃথিবীতে স্বাভাবিক জীবন যাপনে দীর্ঘ সময় রিহ্যাবে (rehab) কাটাতে হবে তাঁদের। প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নাসা নিয়ে ফেলেছে।

দীর্ঘ সময় ভরশূন্য থাকার ফলে সবার আগে যে সমস্যার সম্মুখীন হবেন সুনিতা (Sunita Williams) ও বুচ (Buch Wilmore) তা হলো বেবিফিট (baby feet)। সাধারণ অবস্থায় হাঁটা চলার জন্য পায়ে যে পরিমাণ চাপ দেওয়ার প্রয়োজন হয় মহাকাশে তার প্রয়োজন হয় না। ভেসে ভেসে হাতের ব্যালান্সে চলাচল করার ফলে পা দিয়ে চলাচলের অভ্যাস চলে যায়। ফলে পায়ের তলার অপেক্ষাকৃত মোটা চামড়া আবার নরম হয়ে যায়। পৃথিবীতে হাঁটার সময় সেই নরম চামড়ায় চাপ দিয়ে হাঁটা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। শিশুরা প্রথম হাঁটার সময় যে সমস্যার সম্মুখিন হয়, এক্ষেত্রেও সেই সমস্যা হবে তাঁদের। এই পরিস্থিতিকেই বেবি ফিট (baby feet) সমস্যা বলা হয়।

এছাড়াও ভরহীনতার (weightlessness) সমস্যার সঙ্গেও লড়াই করতে হবে দুই মহাকাশচারীকে (astronaut)। প্রায় নয় মাস ভরশূন্য দুনিয়ায় থাকায় প্রাথমিকভাবে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চালনায় তাঁদের জন্য সমস্যাজনক হতে চলেছে। অনেক অনুভূতি বেশি তীব্র হয়ে সমস্যা তৈরি করবে।

এছাড়াও মহাকাশে ভরহীন অবস্থায় চলাচল করায় হাড়ের ঘনত্ব (bone density) কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে দুই মহাকাশচারীর (astronaut)। মূলত হাত পায়ের হাড়ের ভারসাম্য ফিরিয়ে এনে, পৃথিবীতে স্বাভাবিক চলাফেরার জন্যই তাঁদের দীর্ঘ রিহ্যাবের (rehab) সাহায্য নিতে হবে, জানাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।