ন-মাস মহাকাশে কাটিয়ে মঙ্গলবার পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা-বুচ!

শেষ পর্যন্ত ন-মাস মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। তাদের ফিরিয়ে আনতে ভারতীয় সময় রবিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ইলন মাস্কের মহাকাশযান পৌঁছে গিয়েছে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। এ বার নাসার তরফে  জানানো হয়েছে,  ৯ মাস মহাকাশের স্পেস স্টেশনে আটকে থাকার পরে মঙ্গলবারই পৃথিবীতে ফিরে আসছেন সুনীতা এবং বুচ। নাসার তরফে একটি  বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার সঙ্গীরা ফিরছেন। তাদের আশা, ভারতীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৩.২৭ নাগাদ সুনীতাদের নিয়ে ওই মহাকাশযান নামবে ফ্লোরিডা উপকূলে।

উল্লেখ্য, গত বছর জুন মাসে মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। তাদের থাকার কথা ছিল মাত্র ৮ দিন। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তাদের এত দীর্ঘ সময় সেখানে থাকতে হয়।  তাদের ফেরা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। একাধিক বার তাদের ফেরার দিন ঘোষণা করা হলেও তা  পিছিয়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত সুনীতা এবং তার সঙ্গীকে ফিরিয়ে আনতে রবিবার পৌঁছে যায় ইলন মাস্কের মহাকাশযান। তাদের আনতে ওই মহাকাশযানে গিয়েছেন চারজন। তাদেরকে দেখেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সুনীতা এবং বুচ।নাসার তরফে জানানো হয়েছে, সুনীতাদের ফিরে আসার বিষয়টি লাইভ স্ট্রিমিং করা হবে। স্পেসএক্স-ক্রু ৯ করে সেখানকার স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হবে এই লাইভ কভারেজ।

এতদিনে সুনীতাদের শরীর ভেঙেছে, মাধ্যাকর্ষণের আওতায় এসে হাত-পা এখনই ঠিকমতো কাজ করবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তা সত্ত্বেও পৃথিবীর আলো-হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারার আনন্দে উৎফুল্ল তারা।নাসার তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের সমস্ত দায়িত্ব হস্তান্তর করার পর আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখে বুঝে ফেরার যাত্রা শুরু করবে।

সুনিতা সম্প্রতি বলেছেন যে ‘আমি অনেক দিন ধরে মহাকাশে রয়েছি এবং এখন আমি মনে করার চেষ্টা করছি কীভাবে হাঁটতে হয়’। চিকিৎসকরা বলছেন যে পৃথিবীতে ফিরলেও শক্তি ফিরে পেতে কমপক্ষে ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে, যার অর্থ মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পরেও ৪২ দিন বাড়ি ফিরতে পারবেন না তারা। মাইক্রো গ্র্যাভিটির কারণে তাঁদের পেশী এবং হাড় দুর্বল হয়ে পড়েছে। উভয় মহাকাশচারীর পেশীর ক্ষতির পাশাপাশি, আরও উদ্বেগের বিষয় হল মহাকাশচারীরা তীব্র মহাজাগতিক বিকিরণের সংস্পর্শে এসেছেন যা তাদের দেহের গভীরে প্রবেশ করতে পারে, যা ক্যান্সার সহ বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।