উত্তরপ্রদেশের মীরাটে মার্চেন্ট নেভি অফিসার স্বামী সৌরভ রাজপুতকে প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে টুকরো-টুকরো করে কেটে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, তারপরে দেহ ১৫ টুকরো করে ড্রামের ভিতরে সিল করে দিয়েছিল। হাড়হিম সেই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্ত্রী মুসকান রাস্তোগিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এখন দু’জনের ফাঁসি চান সৌরভের মা। তার আরও অভিযোগ, সৌরভের মেয়ে প্রতিবেশীদের বলেছিল, বাবা ড্রামে আছে। হয়তো কিছু দেখে ফেলেছিল। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, মুসকান ও তার প্রেমিক সাহিল সৌরভকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। তারপর দেহ টুকরো টুকরো করে ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে বাড়ির মালিক তাদের ঘর খালি করতে বলেন। তখন ড্রাম সরানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। শ্রমিকরা ড্রাম সরাতে গেলে ঢাকনা খুলে যায়। তখনই গোটা ঘটনা সামনে আসে।
অভিযুক্ত মহিলার বাবা মাও মেয়ের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তির দাবি জানালেন। তারা চান, তাদের মেয়েকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক। কবিতা জানান, তার মেয়ে সিমলা থেকে ফিরে তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল এবং মুসকান জামাইকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। তিনি আরও বলেন, তাদের জামাই সৌরভ মুসকানকে খুবই ভালোবাসত। একবারে অন্ধ প্রেম ছিল। আমাদের মেয়েরই সমস্যা ছিল। সে সৌরভকে তার পরিবার থেকে আলাদা করে দিয়েছিল। এখন সে এই জঘন্য কাজ করেছে।
কবিতা রাস্তোগি বলেছেন, এই ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত। সৌরভ সবকিছু হারিয়েছিল। ওর বাবা-মা, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ছেড়ে দিয়েছে। আর ওকেই খুন করেছে। সে আমাদের ছেলে ছিল। মুসকানের বাবা-মা অশ্রুভরা চোখে মেয়ের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন। তিনি বলেন, সে বেঁচে থাকার অধিকার হারিয়েছে।মুসকানের বাবা-মা আরও জানান, তাদের মেয়ে এবং তার প্রেমিক সাহিল শুক্লা মাদকাসক্ত ছিল। নেশা করা বন্ধ হতে পারে সেই আশঙ্কায় তারা দু’জনে মিলে সৌরভকে খুন করে। কবিতা আরও জানান, সৌরভ সবসময় তাদের মেয়েকে সমর্থন করেছেন।যখন ও লন্ডন চলে গিয়েছিল, আমরা ওকে বলেছিলাম যে মুসকান আমাদের কাছে থাকতে পারে। তবে মুসকান চায়নি। আর সৌরভ তাকে সমর্থন করেছিল।
–
–
–
–
–
–
–
–